Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রবল জোয়ারে ভেঙে যাওয়া বেড়ীবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করতে কাজ করছে উপক’লবাসী। রাতের জোয়ারের আগেই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কারের জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বাঁধ সংস্কার করতে পারলে কিছুটা হলেও প্রবল জোয়ারের পানি আটকানো সম্ভব হবে বলে ধারণা তাদের।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পদ্মপুকুর এলাকায় বাঁধ সংস্কারের কাজ করতে আসা ইয়াসির আরাফাত, শাহিন বিল্লাহসহ অনেকেই বলেন, দুপুরের জোয়ারের মতো রাতেও যদি প্রবল জোয়ার আসে তবে এই বাধ থাকার সম্ভাবনা নেই। তবু যে এলাকার বেড়ীবাঁধ খুবই নাজুক, ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশী সেই এলাকার বেড়ীবাঁধগুলো আমরা চেষ্টা সংস্কার করার চেষ্টা করছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি নদীর পানি যাতে কোনবাবেই ভেতরে না ঢোকে। যদি লোনা পানি একবার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তবে আমাদের দুঃখের সীমা থাকবেনা। জানিনা রাতে কি হবে! আল্লাহ আমাদের রক্ষা না করলে আমরা রক্ষা পাবোনা।

পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আতাউর রহমান বলেন, অন্যান্যবারের চেয়ে আজ দুপুরে জোয়ারে পানি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে অনেক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশিঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের চেষ্টা করছেন। তবে জানিনা রাতে কি হবে!

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার ভাটার তুলনায় পানি তিন থেকে চার ফিট বৃদ্ধিও সাথে সাথে ঢেউও বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। সেগুলো মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। আমাদের চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। এছাড়া পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি, গ্রাম পুলিশ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে সতর্ক করা হচ্ছে।

By S V

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *