মুন্না, কলারোয়া: কলারোয়ায় জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণাকালে আপন দু’ভাইকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার রাতে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাপাঘাট বাঁশতলা মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ছদ্মবেশী জ্বীনের বাদশারা হলেন, ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে ও বর্তমানে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি (স্বর্ণকারটিলা) এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক হাওলাদার (৪৫) এবং তার ভাই কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান হাওলাদার (৫২)৷
কলারোয়া থানার এসআই রঞ্জন কুমার মালো জানান, উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের শেহের আলীর আমবাগানের মধ্য থেকে সাদা কাপড় পড়ে প্রতারণাকালে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ধরে পুলিশে খবর দেয়।
তিনি জানান, আব্দুর রহমান হাওলাদার এলাকায় থেকে সহজ সরল মানুষ খুঁজে তাদের দুর্বলতা বের করে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন৷ পরে খাগড়াছড়িতে থাকা ভাই আব্দুল হক হাওলাদারকে সব তথ্য দিয়ে এলাকাতে এনে গোপনে জ্বীন সাজিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নেন।
এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা, লাল সুতায় বাঁধা একটি তাবিজ ও দুই প্যাকেট সিঁদুর উদ্ধার করা হয়েছে।
ছদ্মবেশী জ্বীনের বাদশাদের প্রতারণার শিকার ঝাপাঘাট গ্রামের তালুক সরদারের ছেলে শেহের আলী বলেন, ফোনে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক দফায় টাকা নিয়েছে তারা৷ এমনকি এ বিষয়টি কাউকে জানালে পরিবারের ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখাতো। যখন তারা আমবাগানে সাদা কাপড় পরে এসেছে। গ্রামের লোকজন মিলে গাছ থেকে নামিয়ে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, জ্বীনের বাদশা সেজে মানুষের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকাসহ বিভিন্ন সম্পদ অবৈধ উপায়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার দু’জনকে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।