অভিযুক্ত রাকিব পাড়(২৮) শ্যামনগরের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের ছাত্তার পাড়ের ছেলে।
ভিকটিম ওই গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী সুন্দরবনে মাছ ও কাকড়া ধরতে যাওয়ায় আমি বারান্দার কামরায় ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ১১ টার দিকে রাকিব বেড়ার দড়ি কেটে আমার ঘরে প্রবেশ করে জাম-পায়জামা ছিড়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর আমি একটু সুযোগ পেয়ে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে রাকিবকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই রাকিবের লোকজন কৌশলে রাকিবের ভাই শফি এসে রাকিবকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই গৃহবধূর মা বলেন, রাতে আমাকে ফোন দিয়ে স্থানীয়রা জানালে আমি ও আমার ছেলে ওখানে যায়। এরপর ওখানে যেয়ে দেখি পুলিশ উপস্থিত আছে। আমি গেলে পুলিশ আমার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসতে বলে এবং সকালে থানায় যেয়ে দেখা করতে বলে। আমি মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে আসি এবং বুধবার সকালে থানায় যায়। তখন আমার এলাকার কিছু দালাল পুলিশের সাথে কথা বলে আমার মেয়েকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করতে বললে আমি মেয়েকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর আমাকে একটি এজাহার লিখতে বললে আমি একটি এজাহার লিখি। এরপর ওই দালালেরা বলে মামলা হবেনা তোমরা বাড়িতে চলে যাও। এরপর আমরা বাড়িতে চলে আসি।
শ্যামনগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মাজহার বলেন, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।