নিজস্ব প্রতিনিধি: লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী দোকানের কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বড়বাজারের ফাল্গুনী বস্ত্রালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে যেয়ে বিক্ষোভ শেষ করেন তারা।
এর আগে দুপুরে বড়বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে বড়বাজারে অভিযানে নামেন সাতক্ষীরা সদরের সহকারর কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান। ফাল্গুনী বস্ত্রালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবেশ করার সাথে সাথে দোকান হতে বের হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে কর্মচারীরা। পরে দোকানে জরিমানা না করেই বড়বাজার ত্যাগ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান।
এদিকে এ খবর শোনার সাথে সাথেই সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বোরহান উদ্দীন অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে কর্মচারীদের শান্ত করেন এবং সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন।
সাতক্ষীরা বস্ত্র ব্যবসায়ী দোকান কর্মচারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন সাতক্ষীরা ভিশনকে বলেন, দোকানপাট বন্ধ রাখলে আমরা খাবো কি? দোকান না খুলতে পারলে মালিকরা আমাদের বেতন দেবে না।
বিক্রমপুর গার্মেন্টস এর কর্মচারী সাদ্দাম হোসেন, বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাবেন তাদের কোন সমস্যা নেই। আমাদের উপায় কি ? আমাদের সংসার রয়েছে। বউ-বাচ্ছা পরিবার রয়েছে সবাই না খেয়ে মরবে। সে কথা কেউ বলে না।
বড়বাজারের মহিনী ফ্যাশন এর কর্মচারী রবিউল ইসলাম সুজন সাতক্ষীরা ভিশনকে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, লকডাউন দেওয়া হোক তবে একটা নির্দৃষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হোক। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা বা যে কোন একটা নির্দিষ্ট সময়। সে সময়টুকু বিক্রির মাধ্যমে যেন আমরা বেতনটুকু বুঝে পায়। কেননা একজন দোকান মালিক জমি বিক্রি করে আমাদের বেতন দিবে না। এই দোকান থেকে বিক্রি করে আমাদের বেতন দেয়। সেই পথটি করে দেওয়া হোক।
সাতক্ষীরা সদর সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান সাতক্ষীরা ভিশনকে বলেন, আমি সেখানে দোকান বন্ধ করার জন্য যায়, তবে দোকান বন্ধ ছিল। সেখানে যাওয়ার পর দোকানের শকর্মচারিরা আমাকে ঘিরে ধরে তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন। তবে আমি তাদের ডিসি স্যারের সাথে কর্মচারী সমিতির মাধ্যমে দাবী দাওয়া তুলে ধরে কথা বলার জন্য বলে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।