নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় চলছে লকডাউনের প্রথমদিন। সকালে সাতক্ষীরা বাসস্টান্ড, খুলনা রোড মোড়, লাবনী মোড়, সংগীতা মোড়, বকচরা মোড়, নারকেলতলা, বড়বাজারসহ কয়েকটি স্পটে মানুষের বিচরণ ছিল ব্যাপক।
এছাড়া ইজিবাইক, ভ্যান, প্রাইভেটকারের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশী। তবে দুপুরের পর হতে প্রশাসনের তৎপরতায় সাতক্ষীরা শহর একটু ফাঁকা হয়ে যায়। তবে বিকাল হতেই আবার শুরু হয়ে যায় মানুষের অবাধ বিচরণ। সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল হতে দূরপাল্লার কোন গাড়ী ছেড়ে না গেলেও শহরে প্রবেশ করেছে দূরপাল্লার গাড়ী।এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস চলছে সীমিত পরিসরে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ হোটেলই খোলা। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই খাবার খেতে দেখা গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি কাজ ছাড়া বের না হওয়া এসব সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না সাধারণ মানুষ। মুখে মাস্ক না দিয়ে করছেন চলাফেরা।
শহরে দোকানপাট খুলেছে খুবই কম। তবে বড়বাজারের কাচা বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে কেনা-কাটা করছেন অধিকাংশ ক্রেতা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে জেলার তিনটি সীমান্তবর্তী পয়েন্টে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে মোবাইল কোর্টে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।