Spread the love

কামরুল হাসান: কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে নিহত দু’ সন্তানসহ মায়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৫ টায় নিহতদের লাঙ্গলঝাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে, ওই ঘটনায় মাহফুজা খাতুনের ভাই যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বসতপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে হৃদয় গাজী, তার বাবা লাল্টু গাজী ও মাহফুজার চাচা শ্বশুর ইয়াকুব আলীর নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

মাহফুজার ভাই মশিয়ার রহমান বলেন, বিয়ের পর থেকে চাচা শ্বশুর ইয়াকুব আলীর বাড়িতে যাতায়াত করতো বোন মাহফুজা। দুলাভাই কাজের জন্য বেশিরভাগ সময় বাড়িতে না থাকার কারণে বোনকে কু’প্রস্তাব দেওয়ায় চাচা শ্বশুরের বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করে দেয় মাহফুজা। একপর্যায়ে মাহফুজাকে ব্যাপক মারপিট করা হলে স্থানীয়ভাবে শালিসি বৈঠক ডেকে মিটিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও ইয়াকুব তার বোন এর উপর কুদৃষ্টি ছিল। দেড় বছর আগে গভীর রাতে ঘরের টালি খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বোন টর্চ মেরে চিৎকার করলে ইয়াকুব পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তিনি লোকজন নিয়ে ইয়াকুবকে খুঁজতে এলে তিনি পালিয়ে যান।

তবে ইয়াকুব আলী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাথা গরম থাকার কারণে বৌমা সকল সময় তাদের সঙ্গে বিরোধ
করতো।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবীর জানান, মশিয়ার রহমানের এজাহারটি তিনি পেয়েছেন। যাচাই করে প্রয়োজনীয়ং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *