Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ঘরবাড়িতে হামলা-ভাংচুর, ব্যবসায়ীর দোকানপাট ভংচুর করার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে তালা সদর ইউনিয়নের খানপুর ঋষিপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।গুরুতর আহত ওজিয়ার শেখ (৫০) তালা সদর ইউনিয়নের মুড়াকলিয়া গ্রামের তফেজ উদ্দীন শেখের ছেলে।

খানপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তালা ইউপির চেয়ারম্যান বর্তমানে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকির হোসেন, তার ভাই ফারুক সরদারসহ ১০-১৫ জন এসে তান্ডব চালিয়েছে। মনোহর দাস, উত্তম দাসের বাড়ির ঘেরাবেড়া ভাংচুর, মলয় দাসের বসতঘরের চাউনি ভাংচুর, মহাদেবের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে স্বপন দাসের মা আমাপতি দাস, বিধান দাস আহত হয়েছে। জাদব দাসকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে। তাদের তান্ডবে আমাদের এখানে বসবাস করার উপায় নেই। কিছু বলতে গেলে আমরা সংখ্যালঘু মানুষ, আবার হামলা চালাবে।

তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমানে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী সরদার জাকিরসহ তার পরিবার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। যার কারণে তার ভাই সরদার মশিয়ারকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সেই বহিষ্কার পত্রেও স্পষ্টভাবে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তান্ডবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে লাঙল প্রতিকের সমর্থক ওজিয়ার শেখকে কোপানো হয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল নির্বাচনে জনগন তাদের প্রত্যাখান করবে সেটি বুঝতে পেরে জনগণের উপর তান্ডব ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে। এরআগে সরদার জাকির তালা থানার এএসআকে মারপিট, তার ভাই মহিলা পুলিশ কন্সটেবল ও তার স্বামীকে মারপিট করেছে। আরেক ভাই নিকারী পাড়ার লুৎফর নিকারীকে হত্যা করেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তালা সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকির হোসেন বলেন, ওই ঘটনা যখন ঘটে তখন আমরা অন্য ওয়ার্ডে নির্বাচনী মিটিং করছিলাম। ওই ঘটনার সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, ঘটনাটি জানার পর রাতেই গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি দেখেছি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে বুধবার (২৪ মার্চ) বেলা ১২টা পর্যন্ত এখনো মামলা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *