মোমিনুর রহমান: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মহিউদ্দীনের বাড়ীর রান্নাঘর থেকে তিনটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার(০৫ ডিসেম্বর) সকালে মহিউদ্দীন এর বাড়ীর পার্শ্বস্থ রান্নাঘর হতে ওই বোমা তিনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় দেবহাটা থানা পুলিশ।
মহিউদ্দীন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসন্ন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মুজিবর রহমানের কর্মী।
এরআগে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিউদ্দীনের বাড়ীতে ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালায় পুলিশ। তবে মহিউদ্দীনের বেডরুমসহ বাড়ীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশী করেও কোন কিছু খুঁজে পায়নি পুলিশ।
যুবলীগ নেতার বাড়ীর রান্নাঘর থেকে পেট্রোল বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করেছে দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসন্ন উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবর রহমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অন্যান্য ইউনিয়নের মতো সখিপুর ইউনিয়নেও আমি জনসমর্থনে এগিয়ে আছি। সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতনের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীনসহ মুলদল ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং আমার কর্মী-সমর্থকরা দিনরাত নৌকার পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মুলত আসন্ন উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং আমার কর্মী-সমর্থকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দ্যেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমার প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের আধাঁরে যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীনের বাড়ীর রান্নাঘরে ওই পেট্রোল বোমা গুলো রেখে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।
এদিকে দেবহাটায় উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মহিউদ্দীন বলেন, সকালে রান্না ঘরের চৌকির নিচে চাউলের বস্থার পাশে একটি প্যাকেট দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ওই পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে নৌকার সমর্থনে কাজ করায় প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে এ কাজ করেছে।
দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী বলেন, ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ১০ ডিসেম্বর সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। নির্বাচন ঘিরে যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।