বিশেষ প্রতিনিধি: বাজার ছাড়া কম মুল্যের টিসিবি পণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে মালামাল কম বিক্রিসহ বিভিন্নভাবে প্রতারণার দায়ে সাতক্ষীরায় এক টিসিবি ডিলারকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার(৪ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের রাজ্জাক পার্ক হতে ওই ডিলারকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দীন।
আটক টিসিবি ডিলার সিরাজুল ইসলাম আয়ুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দিন বলেন, জনগনের কাছে বিক্রির নির্ধারিত পরিমাণ পেঁয়াজ, চিনি, তৈলসহ বিভিন্ন মালামাল পরিমাণে যেটা নিয়ে আসার কথা সেটা না এনে জনগনকে খালি হাতে ফেরত দিচ্ছিলেন ডিলার সিরাজুল ইসলাম এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে পুলিশ স্পটে অবস্থান নেয়। তারপর কী পরিমান মালামাল থাকার কথা সেই তালিকা নিয়ে কি পরিমান আছে তা চেক করে বরাদ্দপত্র ও স্পটে নিয়ে আসা পণ্যে বিস্তর ফারাক লক্ষ করা যায়।
তিনি আরো বলেন, আজকের বিক্রয়ের বরাদ্দকৃত তালিকায় ছিল চিনি ৩০০ কেজি স্পটে দেখা যায় ১৯৪ কেজি, কমপড়ে ১০৬ কেজি। মসুরের ডাল তালিকায় ছিল ৭০০ কেজি স্পটে দেখা যায় ২০২ কেজি, কমপড়ে ৪৯৮ কেজি। সয়াবিন তৈল তালিকায় ছিল ৮০০ লিটার পাওয়া যায় ৭৪০ লিটার, কমপড়ে ৬০ লিটার। পেঁয়াজ তালিকায় ছিল ৭০০ কেজি পাওয়া যায় ৪১৩ কেজি, কমপড়ে ২৮৭ কেজি। কম থাকা পণ্যগুলো এই প্রতারক ডিলার কালো বাজারের বিক্রি করতো অধিক মুনাফার আশায়। এটি সরাসরি জনগন ও রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা। রাষ্ট্র ও জনগনের সাথে এই প্রতারণার জন্য এ ডিলারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
উপস্থিত ক্রেতা মুসলিমা বেগম বলেন, অনেকদিন ধরেই সব মালামালেই কম পাচ্ছিল। এছাড়া রাতে মশার কামড় খেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ মালামাল ঠিকমতো পেতো না। প্রতিদিনই অল্প কিছু লোককে মালামাল দিয়েই শেষ বলে জানিয়ে দিতো।
আরেক ক্রেতা রাতুল ইসলাম বলেন, সরকার দিচ্ছে কিন্তু এ ধরনের প্রতারকরা অধিক মুনাফার জন্য কালোবাজারে কমমুল্যের পণ্য বিক্রি করে এধরণের প্রতারণা করে চলেছে দীর্ঘদিন। এদের যথাযথ শাস্তি হওয়া উচিত।
অভিযুক্ত ডিলার সিরাজুল ইসলাম জানান, আসার পথে জেলা নাজিরকে কিছু মালামাল দিয়ে আসি, ফলে নির্ধারিত থেকে কম দেখাচ্ছে।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নাজির মোঃ শাহাবুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিরাজুল ইসলামকে তিনি চেনেন, কিন্তু টিসিবির মালামাল নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা।