Spread the love

এসভি ডেস্ক: নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের গ্রেফতার পূর্বক সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার। 

এদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

গত রবিবার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় সোমবার হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অষ্টম তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যেটা অবৈধ। সেটির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। 

এছাড়া ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।

অভিযান চালিয়ে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর কলাবাগান সিগনালে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন ডিএসসিসি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম। এ ঘটনায় সে রাতেই মামলা দায়েরের পর সোমবার পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, বিদেশি মদও অস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। ইরফানকে ১৮ মাস ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ছয় মাস কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *