Spread the love

এসভি ডেস্ক: আউট হওয়ার পর গুটি গুটি পায়ে ব্যাটসম্যানের সাজঘরে ফিরে যাওয়া ক্রিকেটের অতি পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু বাউন্ডারি হাঁকানোর পর সাজঘরের পথ ধরা, তাও আবার ইনিংসের মাঝপথে- এমনটা নিশ্চয়ই অহরহ দেখা যায় না ক্রিকেট দুনিয়ায়। ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশ ও নাজমুল শান্ত একাদশ। দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করছে প্রথম রাউন্ডের শীর্ষ দল নাজমুল একাদশ। রুবেল হোসেনের করা প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসান।

দ্বিতীয় ওভারের দুইটি বল খেলার পর চোখে পোকা ঢুকে যায় সৌম্যর। তখনই খেলা থামিয়ে চোখে পানি দেন সৌম্য। যে কারণে বেশ কিছু সময় বন্ধ থাকে খেলা। সৌম্য ভালো বোধ করলে পুনরায় শুরু হয় খেলা। এরপর মুখোমুখি প্রথম ও দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দারুণ এক ফ্লিকে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারেন সৌম্য।

বল বাউন্ডারি পেরুনোর পর ব্যাটিং পার্টনার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে হাত না মিলিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে যেতে থাকেন সৌম্য। পেছন থেকে আম্পায়াররা ডাক দিলে ইশারায় বুঝিয়ে দেন, চোখে পোকা আক্রমণের কারণে সমস্যা বেশি হচ্ছে, তাই তিনি রিটায়ার্ড হার্ট নিয়ে চলে যাচ্ছেন সাজঘরে।

ইনিংসের দশ বলের মধ্যে এক ওপেনার আউট ও আরেক ওপেনার রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ায় বাধ্য হয়েই নামতে হয় মুশফিকুর রহীমকে। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশফিক এ ম্যাচেও শুরুটা করেছিলেন দেখেশুনে। সুমন খানের এক ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খোলস থেকে বের হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন। তবে নিজের পরের ওভারেই মুশফিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সুমন।

আউট হওয়ার আগে দুই চারের মারে ১২ রান করেছেন মুশফিক, খেলেছেন ৩৭টি বল। তার আগে আউট হওয়া সাইফ ৫ বলে করেন ৪ রান। মুশফিক আউট হওয়ার পর আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সৌম্য। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৪ রান। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ৩২ বলে ১৯ ও ওপেনার সৌম্য ১০ বলে ৫ রান নিয়ে খেলছেন।

By S V

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *