শেখ রিজাউল ইসলাম বাবলু: পতিতাবৃত্তির নামে খরিদ্দার ডেকে তাদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন নারীসহ ৭ জিম্মিকারী ও ২ খরিদ্দারসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা সদরের মাগুরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় নগদ ১৮ হাজার ১০০ টাকা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা থানায় এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দীন।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার আব্দুল হান্নান মোল্যার ছেলে রাজু মোল্যা(২৭), সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সোহান(২১), তার স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা(১৮), একই গ্রামের আফসার সদরদারের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক শুভ(২৪), মৃত ছাকার আলী কচির ছেলে সাইফুল ইসলাম(৪২), বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানার কালিবাড়ি এলাকার নিখিল নন্দির ছেলে মিঠুন নন্দি(৩০), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবরদাড়ি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আমিনুর ইসলাম(৫০), বেতলা গ্রামের জনি সরদারের স্ত্রী রুমা খাতুন ইতি(২০), আশাশুনি উপজেলার কুন্দুড়িয়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল হোসেনের স্ত্রী খালেদা আক্তার মিতা(২২)।
প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই তিন নারীকে দিয়ে মোবাইলে মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে পতিতা বৃত্তির নামে খরিদ্দার ডেকে তাদের জিম্মি করে সুবিধাজনক স্থানে আটকে রাখতো সংঘবদ্ধ এই চক্রটি। এরপর হুমকি দিয়ে বিকাশ, রকেট ও অন্যান্যভাবে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতো।
তিনি আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে মাগুরা গ্রামের সাইফুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তিন নারীসহ ৭ জন সংঘবদ্ধ জিম্মিকারী ও দুই খরিদ্দারকে আটক করে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ১৮ হাজার ১০০ টাকা। আটকদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে ১২(১)১৩/৮ ধারায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।