Spread the love

এসভি ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ যদি হয় ঠান্ডা-কাশি। কারণ- মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের অন্যতম উপসর্গ ঠান্ডা-কাশি। কিন্তু ঠান্ডা-কাশি আমাদের সমাজে নিয়মিত সমস্যা।

তবে এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে মধু। মধুর গুণাগুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। হাজার বছর ধরে ঠান্ডা-কাশির জন্য আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় মধু ব্যবহৃত হয়। 

মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান গলা, বুকে জমে থাকা কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আধুনিক বিজ্ঞানীরাও বলছেন, মধু সর্দি-কাশি নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে বেশি কার্যকর।

মধূ নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত সব ওষুধের চেয়ে কাশি, নাক বন্ধ ও গলাব্যথা নিরাময়ে মধু ভালো কাজ করে। শুধু তাই নয়, পুষ্টি সমৃদ্ধ মধু শরীরের জন্য নানা উপকারী। এতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, মধু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধের চেয়ে কার্যকর বিকল্প পদ্ধতি। তবে এটাই প্রথমবার নয় যে, বিজ্ঞানীরা সর্দি-কাশির নিরাময়ের মধুতে নানা বৈশিষ্ট্য দেখেছেন। এর আগেও বিজ্ঞানীরা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য মধুর গুণাগুণের কথা বলেছেন।

গবেষণার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১৪ টি গবেষণা পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করেছেন। ১ হাজার ৭৬১ জন অংশগ্রহণকারীর অভিজ্ঞতা জেনে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঠান্ডাজনিত সমস্যা কমাতে অন্যান্য ওষুধের চেয়ে মধু দ্রুত কাজ করে।

গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মধুর কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। অ্যান্টিবায়োটিকের পরিবর্তে তারা চিকিৎসদের মধু খাওয়ার পরামর্শ দিতে বলেছেন। 

তবে বিজ্ঞানীরা এটাও বলেছেন বাজারে বিভিন্ন জাতের মধু পাওয়া যায়। কোন ধরনের মধু গ্রহণ করলে ও কীভাবে গ্রহণ করলে তা বেশি কার্যকর হবে তা জানার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।

কীভাবে খাবেন
গলাব্যথা ও সর্দি নিরাময়ে জন্য বিভিন্ন উপায়ে মধু খাওয়া যেতে পারে। যেমন-
১. গলায় ব্যথা হলে এক চামচ মধু শুধু শুধু খেতে পারেন।
২. এক গ্লাস হালকা গরম পানি বা চায়ে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
৩. এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে সামান্য লেবুর রস যোগ করে খেতে পারেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *