Spread the love

এসভি ডেস্ক: বহু জল্পনা-কল্পনা শেষে মানবপাচার ও পর্ণগ্রাফি মামলায় আটক হলেন আশাশুনির মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব।

সাতক্ষীরা সদর থানার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় সদর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই (নি:) রবিন চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে ১২(১)/১৩/৮ ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে, পরস্পর যোগসাজশে মামলার ঘটনাস্থল সাতক্ষীরা থানাধীন পুরাতন সাতক্ষীরা মুন্সিপাড়া ৩ নং ওয়ার্ডের হাটখোলার কাছে জনৈক মহিবুল্লাহ প্রফেসর-এর বাড়ির নিচতলা পতিতালয় হিসাবে ব্যবহার পূর্বক জনসাধারণকে পতিতাবৃত্তির জন্য আহ্বান করার অপরাধে ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাস্থল থেকে ২ জন আসামীকে তাৎক্ষণিক পুলিশ আটক করে পরদিন জেলহাজতে প্রেরণ করে। ওই দিন থেকেই মামলার ৩ নং আসামী আশাশুনি সদরের হান্নান সরদারের ছেলে শহিদুল সরদার @শহিদ (৩২) এবং মামলার ৪ নং আসামী আশাশুনি সদরের ঠান্ডা গাজীর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান @হাবিব (৩০) দুইজনই পলাতক ছিলেন। হাবিব আটক হলেও শহিদুল স্থানীয় এক নেতার সাথে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

রবিবার (২ আগস্ট) মামলার ৪ নং আসামী মো. হাবিবুর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল আশাশুনি থানা পুলিশের সহায়তার আশাশুনি এলাকা থেকে আটক করে পরদিন জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ হাবিবুরকে আটক করেছে রবিবার। তিনি বলেন, আসামীকে আশাশুনি থানা পুলিশ সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে খুঁজে পেতে ও আটক করতে সহায়তা করেছে।

অপরদিকে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো. আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্ম করে আসা হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব আটক হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।তবে এলাকার সাধারণ মানুষ একপ্রকার জিম্মি হয়ে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোনোকিছু বলার সাহস পেতো না স্থানীয় আওয়ামীলীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় থাকার কারনে।

সূত্রে আরো জানা গেছে, হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় ফিরোজা আশাশুনি বাজারের ব্যবসায়ী হারুনের মেয়ে। ফিরোজার প্রাক্তন স্বামী ওসিয়ারের ঘরে ২ কন্যা সন্তান জন্ম হয়, তারা দুইজনই বিবাহিত। এদিকে সেই দুই কন্যা -স্বামীকে ছেড়ে আসামী হাবিবুর রহমানের সাথে ৪ বার বিয়ে করেছে, আর ৪ বার ডিভোর্স হয়েছে ফিরোজার।  হাবিবুরের দ্বিতীয় বউ ফিরোজা একজন কার্ডধারী পতিতাবৃত্তি পেশায় নিয়োজিত। ফিরোজাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করিয়ে আসছে হাবিবুর দীর্ঘদিন ধরে। ফিরোজাকে দিয়ে হাবিবুর বিভিন্ন নামীদামী মানুষকে ব্লাকমেইলও করিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ফিরোজা বছরের ৬ মাস ভারতের বোম্বেতে থাকে, তার সেখানে নামকরা বড় পতিতালয়ও রয়েছে। যেখানে নিজ এলাকা আশাশুনি থেকে মেয়েদের নিয়ে দেহ ব্যবসাও করিয়ে থাকে ফিরোজা।

এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব যাতে করে উল্লেখযোগ্য শাস্তি পায়, সে যেনো এলাকায় ফিরে আর সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন-ব্লাকমেইল করে হয়রানি করতে না পারে। হাবিবুরের কারনে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *