কামরুল হাসান: ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকালে কলারোয়া উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নসহ ১নং জয়নগর, ৩নং কয়লা এবং ১২নং যুগিখালি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়তে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস।
বৃহস্পতিবার সকালে ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ বুরহান উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌফিকুর রহমান, এসআই ইস্রাফিল হোসেন, হেলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শেখ খায়রুল হোসেন, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল মাজেদ, আসলাম আলী দুলাল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, কোন মানুষকে পুলিশি সেবা নেয়ার জন্য আর থানায় যেতে হবে না। প্রয়োজনে সেবা দিতে পুলিশ মানুষের পাশে চলে যাবে। হেলাতলা ইউনিয়নের বিট অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পেলেন থানার এসআই রুবেল হোসেন, সহকারী বিট অফিসার এএসআই মফিজুর রহমান ও এএসআই মিজানুর রহমান৷
এছাড়া, একইদিনে উপজেলার ১নং জয়নগর, ৩ নং কয়লা ও ১২নং যুগিখালি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক সময়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ওই সকল অনুষ্ঠানে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ বুরহান উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন আল মাসুদ বাবু, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, থানার সেকেন্ড অফিসার রাজ কিশোর পাল, এস আই ইস্রাফিল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আজিজুর রহমান, শেখ ফিরোজ আহম্মেদসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার, সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাগণ, ইউপি সদস্যবৃন্দ ও সুধিজন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ৮নং কেরালকাতা ও ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনী-উল-গীয়াস ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ বুরহান উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম ও ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে কলারোয়া উপজেলার ২নং জালালাবাদ, ৪নং লাঙ্গলঝাড়া, ৫ নং কেঁড়াগাছি, ৬নং সোনাবাড়িয়া, ৭নং চন্দনপুর ও ১১নং দেয়াড়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের কাজ সম্পন্ন হলো। এখন থেকে বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে একপ্রকার ঘরে বসেই পুলিশি সেবা পাবেন উপজেলাবাসী।