Spread the love

এসভি ডেস্ক: মেট্রোরেলের ৭৬ শ্রমিককে করোনা ভাইরাসের টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে মো. সাহেদের আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমানকে  ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদদের জন্য এক আবেদনের প্রেক্ষিতে  শনিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম তাকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।

এদিনে তাকে আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। ভুয়া রিপোর্টের জন্য দায়ের হওয়া মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপপরিদর্শক ইয়াদুর রহমান। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জের একটি বাসা থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়।

মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন কর্মীকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত সোমবার (২০ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমসহ হাসপাতালের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মেট্রোরেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রেজাউল করীম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ জন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। এজন্য পরীক্ষা প্রতি সাড়ে তিন হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ায় কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।

গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে, সেইসঙ্গে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক তথ্য।

পরদিন গত ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দু’টি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে। অভিযানের পর থেকেই আত্মগোপনে থাকা সাহেদকে অবশেষে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *