এসভি ডেস্ক: দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ মামলায় তার বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সোমবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত হতে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা টেস্টের জালিয়াতির ধরার পরই পলাতক রয়েছে আওয়ামী লীগের এই নেতা। তবে তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে খোঁজা হচ্ছে। তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, অন্যথায় গ্রেফতার করা হবে।’
করোনা টেস্টের জাল সনদ সরবরাহ এবং টেস্ট ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের উপস্থিতিতে হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরপর সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করাসহ নানা প্রতারণার খবর বেরিয়ে আসতে শুরু করে। গত ৭ জুলাই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি ও প্রতারণার নানা খবর প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।