Spread the love

শেখ বাদশা: সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার প্রায় ২০ হাজার অসহায় মানুুষ জোয়ার ভাটার পানিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

গত ২০মে রাতে ভেঙ্গে যাওয়া পাউবো’র ভেড়ী বাঁধ এখনো পুন: নির্মাণ না হওয়ায় নদীর জোয়ার ভাটার পানি উঠানামা করছে মানুষের বাড়ী ঘরে। খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার-ভাটায় প্রতাপনগর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা এখন একাকার হয়ে গেছে। লবণাক্ত পানিতে নিমজ্জিত ও জলমগ্ন গ্রামের পর গ্রাম। বাড়ী ঘর হারিয়ে মানুষ এখন যেন নিজেদেরই কুলকিনারা খুজে পাচ্ছে না।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয়রা প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নিজেদের বাপ দাদার ভিটামাটি রক্ষার্থে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

ভাঙ্গন কবলিত স্থানে স্বেচ্ছায় কাজ করা শ্রমিকরা জানান, আমরা আর ত্রাণ চাইনা, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য টেকসই বেঁড়ীবাধ চাই।

ভাঙ্গন কবলিত স্থানে বাঁধ রক্ষা কাজে কর্মরত প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতাপনগর ইউনিয়নের বানভাসি মানুষের ভিটাবাড়ী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ইউনিয়নের হরিষখালিতে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করবেন। কিন্তু বাঁধ ভাঙ্গার ৫২দিন অতিবাহিত হলেও পাওবো’র কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাঁধ রক্ষার্থে এগিয়ে আসেননি। তাছাড়া এখনও কোন দিন বাঁধ পরিদর্শনেও আসেননি তারা।

রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করে হরিষখালির একটি অংশের বাঁধ আটকানো সম্ভব হয়েছে।

এমতবস্থায় প্রতাপনগরসহ উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত স্থানে টেঁকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করে নিয়মিত ভাঙ্গন ক্রিয়া প্রতিরোধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *