এসভি ডেস্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে চীন। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, আপাতত কয়েকটি পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে উভয় দেশই সেনাদের পিছু হটিয়ে নিচ্ছে। তবে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হৃদের উত্তরে ও দেপসাংয়ে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। প্যাংগংয়ের ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত এলাকায় এখনও চীনা সৈন্যদের দখলে। এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে দিল্লিকে।
গত ১৫ জুন দুই পারমাণবিক প্রতিবেশির সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। চীনা পক্ষে হতাহত সম্পর্কে দেশটির সরকার কিছু বলেনি।
ভারতীয় সূত্রগুলো জানায়, পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে দুই দেশের সেনাই কিছুটা পিছিয়েছে। একই প্রক্রিয়া হট স্প্রিং এরিয়াতেও পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ ও ১৭-এ-তে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, ‘রোববার রাত থেকেই গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষার জন্য যে স্থাপনা তৈরি করেছিল চীনা সেনাবাহিনী, তা সরানো হয়েছে। আপাতত পুরো এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। চীনা সেনাদের সরিয়ে নিতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ওই এলাকায় আনা হয়েছে। এরপরই উভয় পক্ষের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে।’
সূত্র আরও জানায়, পুরো প্রক্রিয়াটি এখনও চলমান এবং উভয় পক্ষের কতজন সেনা সরানো হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। ভারত-চীন সেনা পর্যায়ের বৈঠকে পিপি-১৪ থেকে সেনা সরানোয় সম্মতি জানায় দুই দেশ। তবে সবদিক যাচাই করেই বলা সম্ভব এই খবর কতটা নিশ্চিত।
এই সেনা প্রত্যাহার কতটা দীর্ঘমেয়াদি, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে কথা হয়েছে চীনা স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-য়ের। ‘বিস্তারিত ও খোলামেলা’ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে উভয় দেশেই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে রাজি হয়েছে। মতভেদকে বিরোধে পরিণত করা উচিত নয় বলে মনে করছে প্রতিবেশী ভারত-চীন। রোববার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ফোনে ওয়াং ই-য়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে এই বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই গালওয়ান থেকে সেনা প্রত্যাহারে দুই দেশই সম্মত হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।