Spread the love

এসভি ডেস্ক: অনেক দুর্বিহ জীবন যাপন করছেন চার গ্রামের বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ দৈনন্দিন জীবনের অনেকই কিছুই মেলে না সেখানে। তাই ক্ষোপে-অভিমানে বাংলাদেশের অধীনে আসতে চায় ভারতের মেঘালয়ের ৪টি গ্রাম।

সম্প্রতি ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং মনিপুর-ভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘এফপিএসজে রিভিউ অব আর্টস অ্যান্ড পলিটিক্স’র এক প্রতিবেদনে এতথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়েছে, রাজ্যের হিঙ্গারিয়া, হুরয়, লাহালাইন এবং লেজারি- এই চার গ্রামে মেঘালয়ের ৫ হাজার আদিবাসী বসবাস করেন। বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলের রাস্তাগুলো অবহেলা আর অযত্নে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এবিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করেছে গ্রামবাসী। কিন্তু তাদের বিন্দু মাত্র সাড়া নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। সাড়া না পেয়ে তারা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন। শুধু রাস্তা নয়, এই অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। নেই স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ।

কিছুই উপায় না পেয়ে গ্রামবাসীরা মিলে গত মঙ্গলবার একটি বৈঠকে বসেন। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নেন ভারত সরকারের দৃষ্টি কাড়তে বাংলাদেশের অধীনে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে।

কিনজাইমন আমসে নামের এক গ্রামবাসী বলেন, ‘সীমান্তের মানুষের জীবন কোনো সরকারের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা শুধু ভোটের জন্যই ব্যবহৃত হই। সরকার যদি আমাদের সত্যিকার অর্থে ভারতীয় বলে বিবেচনা করে, তাহলে আমাদের সমস্যাগুলো দ্রুত ঠিক করা উচিত। অন্যথায় সাধারণ মানুষের কিছু করার থাকবে না। কঠিন পদক্ষেপ নিতে তারা বাধ্য হবে।’

এই চার গ্রাম ভারতের মেঘালয়ের পূর্ব জয়টিয়া জেলার ভেতর পড়েছে। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারের মতো।

কিনজাইমন বলছেন, ‘গ্রামবাসী এখন ক্লান্ত। হতাশ। মিটিংয়ে ৫ হাজার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার যদি রাস্তা ঠিক করতে না চায়, তাহলে বাংলাদেশকে চার গ্রাম দিয়ে দিতে পারে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ সরকারের কাছে রাস্তা ঠিক করার বিষয়ে লিখিত আবেদন করবো।’

করোনার কারণে সৃষ্টি হওয়া লকডাউনের কথা উল্লেখ করে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘পৃথিবী হয়তো এখন প্রথমবার লকডাউনে পড়েছে। আমরা লকডাউনে আছি আজীবন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *