Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের কালিবাড়ি পাঠাগার সংলগ্ন পাকার মাথা থেকে ঋষিপাড়া পর্যন্ত পিচের রাস্তা করার শুরুতেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

তালার ঠিকাদার তপন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ইচ্ছামত রাস্তা তৈরির শুরুতেই নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে শুক্রবার দেখা গেছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর তোপের মুখে শুক্রবার সকালে রাস্তায় দেয়া কিছু নিম্মমানের ইটের খোয়া তুলে রাস্তার পাশে রেখেছে। অন্যদিকে রাস্তায় কাজ করা শ্রমিকেরা বলেছে কাজ করতে গেলে কিছু খারাপ ইটের খোয়া না দিলে কাজ ফিনিশিং হবেনা। তবে কিছু নিম্নমানের ইটের খোয়া শুক্রবার সকালে রাস্তার শ্রমিকেরা তুলে রাস্তার পাশে রেখে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কালিবাড়ি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আশাশুনি সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলী জানান, তারা গ্রামবাসীরা মিলে কাজের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে কয়েকবার। রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হবেনা বলেও ঠিকাদারি শ্রমিকেরা জানানোর পরেও বার বার একই অনিয়ম করেছে। তিনি নিজে কয়েকবার তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউনএনও) ইকবাল হোসেনকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। ইউএনও ইকবাল হোসেন তাকে বলেছেন অনিয়ম হলে রাস্তার কাজ করা বন্ধ করে দেন।

তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে তিনি কয়েকবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীও তাকে বলেছে কাজ বন্ধ করে দিতে। প্রতি উত্তরে ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলী বলেছেন কাজ আমরা বন্ধ করে দিলে কথা উঠবে। সেজন্য আপনারা এসে দেখে যায়,আপনারা নিজেরাই পদক্ষেপ নেন।

রাস্তার অনিয়মের বিষয়ে তালা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইকবাল হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে ও শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ চন্দ্র সরকারের কাছে মোবাইলে জানানো হলে তিনি জানান, আপনারা কাজ বন্ধ করে দেন। প্রতিবেদক নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমি সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তিনি তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিবেন। তবে এখনো পর্যন্ত  কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এদিকে কালিবাড়ি পাঠাগারের সভাপতি ক্যাপ্টেন এছাহক আলী জানান, তারা পাঠাগারে দ্রুত মিটিং করে রাস্তার অনিয়মের ব্যাপারে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দরখাস্ত দেবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার জনমনে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে সরকার বার বার রাস্তা বরাদ্ধ দিবেনা। তাই যদি সঠিকভাবে কাজটি করা না হয় তবে খুব শিঘ্রই রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই যাতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেন সে ব্যাপারে স্থানীয় জনগন আশাবাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *