Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণ চেষ্টাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেলো প্রতাপনগর দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী হানুফা খাতুন (ছদ্মনাম)।

মাদ্রাসাছাত্রী হানুফার (১৫) দাখিলকৃত এজাহার থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার সে তার বাড়ি আশাশুনি উপজেলার আম্পান কবলিত প্রতাপনগর থেকে খেড়োয়ারডাঙায় বোনের বাড়িতে যায়। বোনের বাড়ি থেকে ফের বাড়িতে ফেরার জন্য তার ভগ্নিপতি শাহিনুর রহমান ভাড়ার একটি মোটরসাইকেলে তাকে উঠিয়ে দেন।

ভাড়ার মোটর সাইকেলচালক কালিগঞ্জ শীতলপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ মোড়লের ছেলে লিটন মোড়ল (৪২) হানুফাকে নিয়ে সঠিক পথে না গিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার দিকে নিয়ে আসে। হানুফা বারবার বলা স্বত্তেও মটর সাইকেল চালক দীর্ঘক্ষণ কালক্ষেপণ করতে থাকে। পথে এক জায়গায় দাঁড়ালে হানুফা স্থানীয়দের কাছে জানতে পারে তাকে কালিগঞ্জে নিয়ে এসেছে। এরপর সে তাকে তার বাড়িতে পৌছে দেয়ার কথা বললে এবার নিয়ে যাবে বললে না নিয়ে আরেক পথে নিয়ে যায়। উপয়ান্তর না দেখে হানুফা মোটরসাইকেল থেকে লাফ দেয় এবং স্থানীয়দের কাছে অনুরোধ করে থানা পুলিশে জানাতে। এলাকাবাসী কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেইনকে মোবাইল ফোনে খবর দেয়। ওসি সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে মোটরসাইকেল চালক লিটনকে আটক করে এবং হানুফাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওসি দেলোয়ার হুসেইন হানুফার পরিবারকে ফোন দিয়ে ডেকে এনে বোন দুলাভাইয়ের কাছে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে দেয় এবং মোটরসাইকেল চালক লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেইন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিটন স্বীকার করে মাদ্রাসাছাত্রীকে অন্য পথে নিয়েছিলো অপহরণ ছাড়াও ভিন্ন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য। মোটরসাইকেল ভাড়া করে আনার পথেই লিটন তার সহযোগীকেও প্রস্তুত হতে বলে। কিন্তু লিটন তার সহযোগীকে পেতে দেরী করার কারণেই লিটনের মিশন পুরোপুরি সফল হয়নি। তার সহযোগীর নাম পেয়ে গেছে। তার অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মামলা তদন্তের স্বার্থে অপর আসামীর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেইন বলেন, আসামী লিটনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *