এসভি ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে গোটা গালওয়ান ভ্যালি নিজেদের এলাকা বলে দাবি করছে চীন৷ বিগত কয়েক দশকে সরাসরি যে দাবি করেনি, এখন হঠাত্ উঠে পড়ে লেগেছে চীন৷ আর ঠিক এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তিব্বতের নির্বাসিত সরকার৷
চীনের আগ্রাসন দেখেই ভারতকে সতর্ক করলেন সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লবসাং সাংগে৷
ভারতী মিডিয়াকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কাবরে তিনি বোঝালেন, লাদাখ সীমান্তে চীনের কার্যকলাপ কিন্তু চীনের ‘ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি’-র অংশ৷ যে স্ট্র্যাটেজি শুরু করেছিলেন পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাও সে তুং৷
সাংগের কথায়, ‘যখন চীন তিব্বত দখল করল, মাও সে তুং-সহ অন্যান্য চীনের নেতারা বলেছিলেন, তিব্বত হল হাতের তালু, যা আমাদের দখল করতেই হত৷ এরপর আমরা বাকি পাঁচ আঙুল বাড়াবো৷ প্রথম আঙুলটি হল লাদাখ৷ বাকি ৪টি আঙুল হল নেপাল, ভুটান, সিকিম ও অরুণাচলপ্রদেশ৷’
২০১৭ সালের ডোকলাম স্ট্যান্ড-অফ প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, লাদাখের এই আগ্রাসনও সেই ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজির-ই অংশ৷ তিব্বতের নেতারা ভারতকে গত ৬০ বছর ধরেই এটাই সতর্ক করে আসছেন৷ নেপাল, ভুটান ও অরুণাচলের উপরেও চাপ রয়েছে৷
১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে এই প্রথম গোটা গালওয়ান ভ্যালির উপরে প্রথম নিজেদের আধিপত্য দাবি করল চীন৷ শান্তিপূর্ণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে রক্তাক্ত করে দিল৷