Spread the love

কামরুল হাসান: কলারোয়া পৌরসভাধীন পুরাতন খাদ্য গুদামের সামনের এলাকা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পঁচা দুর্গন্ধময় পরিবেশে স্থানীয়রা চরম ভোগান্তিতে থাকলেও সংশ্লিষ্টদের দায়সারা ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

বাসস্ট্যান্ড, কাচা বাজার, মাছ-মাংস, কাপুড়িয়া পট্টি, চাউল পট্টি ও ট বাজারের এবং দোকানদারদের ফেলা ময়লা আবর্জনা পুরাতন খাদ্য গুদামের পাঁচিল ঘেঁষে সামনের জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অর্ধেকজুড়ে স্তুপ করে রাখা হয়। আবার সেখান থেকে প্রতিদিন তো নয়-ই, নিয়মিতও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় না। এমনকি সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ময়লা-আবর্জনা স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ময়লা আবর্জনা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার না করায় সেগুলো পঁচে ও দুর্গন্ধে পথচারী ও স্থানীয় বসবাসকারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় ময়লা আবর্জনার ভাগাড় পরিলক্ষিত হয়। এরূপ কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন খাদ্য গুদামের সামনে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। বাস্ট্যান্ডসহ কাচা বাজারের ময়লা সব ওই পুরাতন খাদ্য গুদামের সামনে ফেলা হয়। দেখা যায় যে, ময়লা পরিষ্কার করে কিন্তু সীমিত আর বাকী সব ময়লা পঁচে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।

কয়েকজন পথচারী জানান, এখানে নিয়মিত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় না। যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হতো তাহলে এই দৃশ্য দেখতে হতো না। অনুরূপ দৃশ্য কলারোয়া সরকারি কলেজের ছাত্র হলের সামনে, সরকারি পাইলট হাইস্কুলের সামনে, উপজেলা মোড়ে প্রেসক্লাবের সামনেও দেখা যায়।

প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিন পরিস্কার করার জন্য অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এর আগেও এরূপ সংবাদ প্রকাশ করে স্থায়ী কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কলারোয়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, প্রতিনিয়ত পৌর এলাকা পরিস্কার করা হয় এবং ব্লিচিং পাউডারও স্প্রে করা হয়। তবে গাড়ীর সমস্যা থাকার কারণে মাঝে মাঝে এক বা দুই দিন সমস্যা হতে পারে। তবে নেক্সট এ এই সমস্যা যাতে না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *