এসভি ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসনের ব্যবহার নিয়ে দেশের সাধারণ জনগণ ও ফার্মেসিগুলোকে সতর্ক করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সংক্রান্ত জাতীয় গাইডলাইনে এর ব্যবহারের কথা বলা আছে। তবে সেটি কেবল বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ ব্যবহার করতে না করা হয়েছে।
অন্যদিকে, স্টেরয়েড জাতীয় এই ওষুধ অপ্রয়োজনে সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এতে করে বরং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারেও বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
বুধবার (১৭ জুন) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেক্সামেথাসন ব্যবহার হয়ে আসছে। ডেক্সামেথাসন একটি স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্রণীত জাতীয় নির্দেশিকায় ওষুধটি ব্যবহারের কথা বলা হলেও এটি করোনাভাইরাসের চিকিসার মূল ওষুধ নয়। বরং এটি সহকারী ওষুধ, যা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য, অন্য কোনো ক্ষেত্রে নয়।
ডেক্সামেথাসন ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবনবিধি এবং মাত্রা না মেনে ওষুধটি সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাড়ক্ষয়, আলসার, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়াসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ওই ওষুধ অপ্রয়োজনে ব্যবহার করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে করে আবার মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, ফার্মেসি থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ডেক্সামেথাসন ওষুধটি বিক্রি করা হচ্ছে এবং জনসাধারণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ওষুধটি মজুত করছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডেক্সামেথাসন ওষুধটির প্রয়োগ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওষুধ বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেক্সামেথাসন প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এ নির্দেশ না মানলে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।