দেবহাটা প্রতিনিধি: দাদনের পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার জের ধরে সাতক্ষীরার দেবহাটায় এক ইট ভাটা শ্রমিককে পিটিয়ে জখম ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার ঘড়িয়াডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইট ভাটার সর্দারের নাম দাউদ নিকারী(৪০)। তিনি দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের ঘড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত সোলায়মান নিকারীর ছেলে।
আহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, দাউদ নিকারী পটুয়াখালীতে একটি ইটের ভাটার সর্দার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালীন সময়ে নিজ এলাকার ইব্রাহিম নিকারীর ছেলে মিজানুরসহ বহু লোককে ওই ইট ভাটায় চুক্তি ভিত্তিতে কাজ দেন। কিন্তু মিজানুর ইটভাটা কতৃপক্ষের কাছ থেকে দাদনের টাকা নিলেও চুক্তি মোতাবেক কাজ না করে বাড়ীতে চলে আসেন। এঘটনায় ইটভাটা কতৃপক্ষ মিজানকে দেয়া দাদনের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য দাউদ নিকারীকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিগত প্রায় পনেরো দিন আগে দাউদ নিকারীও বাড়ীতে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি মিজানের কাছে দাদনের টাকা ফেরত চাইলে তারা দাউদ নিকারীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় দাউদ নিকারী বাড়ীর পাশ্ববর্তী পুকুরে গোসল করতে যাওয়ার সময় আকষ্মিক আহম্মাদ নিকারীর ছেলে আজগার নিকারীর ইন্ধনে ইব্রাহিম নিকারীসহ তার তিন ছেলে মিজানুর, আজহারুল ও রফিকুল দলবেঁধে দাউদ নিকারীর ওপর হামলা চালিয়ে কাঠ ও বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা দাউদ নিকারীর কাছে থাকা গামছা তার গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের পরিবার জানিয়েছেন।