Spread the love

এসভি ডেস্ক: কিছু করতে হলে তা লিখে ফেলতে হবে, লিখে ফেললাম, আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের করণীয়কে পথ দেখানোর অনুরোধ করছি।

সাতক্ষীরা জেলার “কালিগঞ্জ উপজেলা উন্নয়ন পরিকল্পনার মাস্টার প্লান ও কালিগঞ্জ করোনা রেসপন্স মডেল” (ভার্সন-১)
১) শিরোনাম ও উদ্দেশ্যঃ যেহতু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের মহামারী শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া সচল ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে এবং করোনা ভাইরাসের নিম্নমুখী প্রভাব মোকাবেলা করতে একটি স্থানীয় নীতি প্রণয়ন আবশ্যিক সেহেতু এই স্থানীয় নীতি প্রণয়ণ করা হলো। কালিগঞ্জ উপজেলার মানুষের বিদ্যমান বুদ্ধিবৃত্তিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যায়ক্রমে উন্নততর স্তরে নিয়ে যাওয়াই এই নীতি প্রধানতম উদ্দেশ্য। এই নীতিটি “কালিগঞ্জ করোনা রেসপন্স মডেল ও কালিগঞ্জ উন্নয়ন পরিকল্পনার মাস্টার প্লান” নামে অবিহিত হবে। এর দুটি অংশ থাকবে ক) কালিগঞ্জ উন্নয়ন পরিকল্পনার মাস্টার প্লান খ) কালিগঞ্জ করোনা রেসপন্স মডেল।
২) কালিগঞ্জ করোনা রেসপন্স মডেল ও কালিগঞ্জ উন্নয়ন পরিকল্পনার মাস্টার প্লান একটি স্থানীয় মডেল হিসেবে পরিগণিত হবে যা জাতীয় নীতিসমূহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং স্থানীয় প্রয়োজন আমলে নিয়ে সময়ে সময়ে পরিবর্তন করা হবে।
৩) বর্তমান মডেলটি ভার্সন-১ নামে অভিহিত হবে। প্রতিমাসে এর সংশোধন করা যেতে পারে সংশোধিত ভার্সনগুলো ভার্সন-২,৩,৪ ইত্যাদি নামে অভিহিত হবে।
৪) “কালিগঞ্জ করোনা রেসপন্স মডেল ও কালিগঞ্জ উন্নয়ন পরিকল্পনার মাস্টার প্লান” উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, এনজিও, দাতাসংস্থা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সর্বোপরি সাধারণ জনগণের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হবে।
৫) আর্থিক সহায়তার জন্য সরকার, উপজেলা পরিষদ, দাতা সংস্থা, এনজিও,সুশিল সমাজ, সাধারণ জনগণের সাথে উপজেলা প্রশাসন যোগাযোগ করবেন।
৬) উপজেলা পরিষদের অনুমোদন দরকার এমন বিষয়েসমূহে উপজেলা পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৭) সরকারের অনুমোদন,গোচরীভূতকরণ দরকার এমন বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংশ্লিষ্ট বিভাগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পত্র প্রেরণ করবেন।
৮) আর্থিক ও অন্যান্য বিষয়ে নথি সংরক্ষণ করতে হবে।

১০) ক) অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কালিগঞ্জ উন্নয়ন পরিকল্পনার মাস্টার প্লানঃ

সময়ের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের এই সময় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ , উৎপাদনে অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, ও আধুনিক বিপণণ ( ই-কমার্স, এফ-কমার্স, ফোন-কমার্স) চালু করার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নীতিসমূহ প্রধানত অনুসরণ করা হবে-
১১ ) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কৃষি, ফিশারি ও প্রাণিসম্পদ বিভাগকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহারের সূত্র কাজে লাগিয়ে আগামী মৌসুমে সকল উৎপাদন ন্যূনতম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হবে।
কার্যপদ্ধতিঃ
১২) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা সিনিয়র ফিশারি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বর্তমান উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ” কালিগঞ্জ উপজেলার উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি ” শিরনামে আলাদা আলাদা নথি খুলবেন। উক্ত নথিতে বর্তমান উৎপাদন, ও আগামী বছরের মধ্যে কি পরিমান উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সে সংক্রান্ত সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক উক্ত পরিকল্পনা রাখবে হবে।
১৩) চাষাবাদের উপকরণ যথা, জমি, পুকুর, ঘের, ফার্ম ইত্যাদি বর্তমানে কি কি আছে তা থেকে ভবিষ্যতে কিভাবে তা বাড়ানো যায় সে সংক্রান্ত গাণিতিক তথ্য উক্ত ফাইলে রাখতে হবে।
১৪) উৎপাদন বৃদ্ধির সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে জুম সিস্টেমের মাধ্যমে অন-লাইন প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। প্রশিক্ষণের পর যারা অর্থের অভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারছেন না, তাদের ঋণ প্রদানের সুপারিশ করে ঋণদানকারী বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরণ করবেন ।
১৫) উৎপাদনের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে সভা করতে হবে, এক্ষেত্রেও জুম সিস্টেমের মাধ্যমে অন-লাইন সভাকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
১৬) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে সরকারী সহজ শর্তে ঋণদান, ও আধুনিক বিপণণ ( এফ-কমার্স) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
১৭) সহজ শর্তে সরকারী ঋণদানের কার্যপদ্ধতিঃ ঋণদাতা সংস্থা যেমন, যুব উন্নয়ন বিভাগ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, ফিশারি বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, একটি বাড়ী, একটি খামার প্রকল্প, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন ইত্যাদি বিভাগসমূহ ও ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎপাদনমুখী উদ্যোগে সহজ শর্তে ও ঋণে অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
১৮) উপর্যুক্ত প্রতিটি বিভাগ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ” কালিগঞ্জ উপজেলার উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে ঋণদান/অর্থায়ন ” শিরনামে আলাদা আলাদা নথি খুলবেন। উক্ত নথিতে উক্ত বিভাগের আওতায় ঋণ প্রদানে লক্ষ্যে সরকারের বরাদ্দ কত, কি পরিমাণ বিরতণ হয়েছে, বিরতণের শর্ত ও ক্যাটাগরি কি তা উল্লেখ থাকতে হবে।
১৯) উপর্যুক্ত প্রতিটি ঋণদানকারী বিভাগ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উৎপাদনশীল বিভাগের নিকট হতে কাকে কাকে ঋণ প্রদান করা যেতে পারে তার তালিকা সংগ্রহ করবেন।তাদের ঋণ প্রদানের জন্য নিজেরাই উক্ত ব্যক্তিগণের সাথে যোগাযোগ করবেন। ঋণের প্রাপ্যতা ও প্রকার নির্ধারণ করবেন। মনে রাখতে হবে এই উদ্যোগ সরকারী সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ফলে ঋণ নিতে মানুষকে অফিসে আসতে হবে এই ধারণা হতে বের হয়ে আসতে হবে।
২০) ঋণ প্রদানের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে সভা করতে হবে, এক্ষেত্রেও জুম সিস্টেমের মাধ্যমে অন-লাইন সভাকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।উপজেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভায়ও এই নীতির বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করা হবে।
২১) এফ-কমার্সের কার্যপদ্ধতিঃ সহকারী প্রোগ্রামার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, কালিগঞ্জ ও সহকারী প্রোগ্রামার, ব্যানবেইস ” কালিগঞ্জ উপজেলায় এফ-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ” শিরোনামে আলাদা আলাদা নথি খুলবেন।
২২) সহকারী প্রোগ্রামার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী প্রোগ্রামার, ব্যানবেইস ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এফ-কমার্স পেইজ যথা 1. Kaliganj Online Shop, 2. কালিগঞ্জ এর ব্যবসায়ী সমাজ 3. kaliganj fresh and safe fish market 4. kaliganj organic agro-product market 5. কালিগঞ্জ সেইফ চিকেন এন্ড এগ মার্কেট -এ যাতে উৎপাদনকারীগণ সহজে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন সেজন্য তাদের ব্যানবেইজের আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবে ই-কমার্স, এফ-কমার্স, ফোন-কমার্স বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন ।
২৩) সহকারী প্রোগ্রামার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, কালিগঞ্জ ও সহকারী প্রোগ্রামার, ব্যানবেইসকে উক্ত পেইজসমূহের বর্তমান এডমিনদের সাথে যোগাযোগকরে সবগুলো পেইজে এডমিন হতে হবে।
২৪) সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করতে এফ-কমার্সকে জনপ্রিয় করতে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
২৫) উৎপাদনশীল বিভাগের নিকট হতে কাকে কাকে এফ-কমার্স প্রশিক্ষণ প্রদান করা যেতে পারে তার তালিকা সংগ্রহ করবেন। তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
২৬) ই-কমার্স ও এফ-কমার্স এর মাধ্যমে কালিগঞ্জের রপ্তানিযোগ্য পণ্যকে কালিগঞ্জের সীমানার মধ্যে ও সীমানার বাইরে অন্যান্য জেলায় ও দেশের বাইরে কিভাবে রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ফলমুখী( Result Based) উদ্যোগ নিতে হবে।
২৭) কি কি পণ্য দেশের বাইরে ও অন্য জেলায় রপ্তানি করা যায় তা চিহ্নিত করতে হবে। উক্ত পণ্যসমূহের ট্রেইসিবিলিটি, গুনগত মান ও সেইফটি সার্টিফিকেশন কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে সে বিষয়ে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। উপজেলা পরিষদে একটি গোডাউন ও সেইফটি সার্টিফিকেশন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য উপজেলা পরিষদ হতে বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের সাথে যোগাযোগ করা হবে।
২৮। ই-কমার্স প্রশিক্ষণ প্রদান নিশ্চিত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের অধীনে পরিচালিত “ ই-বাণিজ্য করব, নিজের ব্যবসা গড়ব” শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মহোদয়ের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা হবে।
২৯। স্থানীয় উদোগেও ই-কমার্স প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও উপজেলা পরিষদের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।
৩০। বিদ্যমান ব্যবসাকে এফ-কমার্স পদ্ধতিতে রূপান্তরিতকরণঃ প্রচলিত হাটবাজারের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্যকে এফ-কমার্স ও হোম-ডেলিভারি সিস্টেমে নিয়ে আসার জন্য সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ক একটি আলাদা নথি খুলে সহকারী কমিশনার(ভূমি) কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
৩১) ব্যবসায় জালিয়াতি রোধ ও নিরাপত্তাঃ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কালিগঞ্জ; ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কালিগঞ্জ ব্যবসায় জালিয়াতি রোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। এসব প্রশিক্ষণে তারা এক্ষেত্রে যারা অভিজ্ঞ তাদের আমন্ত্রণ জানাবেন। প্রশিক্ষণসমূহ জুম সিস্টেমে করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩২) মিডিয়া সংযোগঃ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সময়ে সময়ে একক বা যৌথভাবে কালিগঞ্জ উপজেলার উপর্যুক্ত উদ্যোগ সম্পর্কে মিডিয়াকে ব্রিফ করবেন। তাদের কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে সহকারী প্রোগ্রামার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, কালিগঞ্জ ও সহকারী প্রোগ্রামার, ব্যানবেইস বা অন্য কোন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিডিয়াকে ব্রিফ করতে পারবেন।
৩৩) খ) কালিগঞ্জ করোনা রেসপন্স মডেল
প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের মতো একটি পাবলিক হেলথ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে কালিগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক WHO এর করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ট্রেনিং করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলে প্রায় ২ শত সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তি উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। উক্ত WHO এর অনলাইন ট্রেনিং প্রাপ্ত সদস্যদের নিয়ে একটি ফেইসবুক পেইজ “ Kaliganj Corona Expert Team” গঠন করা হয়। উক্ত পেইজে সাধারণ মানুষের ব্যপক সাড়া প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে একটি civilian public health initiative গ্রহণ করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী কালিগঞ্জ করোনা এক্সপার্ট টিমের WHO এর অনলাইন ট্রেনিং প্রাপ্ত সদস্যদের মধ্যে ২০ জনকে মাস্টার ট্রেইনার করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় । উক্ত মাস্টার ট্রেইনারগণ পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশ, ঈমাম, সরকারি অফিসার, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক, সাধারণ জনগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।

৩৪) প্রশিক্ষণ মডিউলসমূহ নিম্নরূপভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়ঃ
মডিউল ১। রেজিষ্ট্রেশন, পরিচয় পর্ব, এক্সপার্ট টিমের অনুসরণীয় নীতিমালা ( রিসোর্স পারসন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার/ সহকারী কমিশনার (ভূমি)/ উপজেলা লেভেলের যে কোন কর্মকর্তা )

মডিউল ২। করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে / সন্দেহভাজন হলে করণীয়, চিকিৎসা ধাপ, রোগীকে কোথায় রাখা হবে, গাইডলাইন ( রিসোর্স পারসন, ইউএইচএফপিও/ ইউএইচএফপিও কর্তৃক মনোনীত একজন চিকিৎসক/ স্বেচ্ছাসেবী এমবিবিএস বা সমমানের ডাক্তার )

মডিউল ৩। লকডাউন কার্যকর করার পদ্ধতি, পুলিশ, গ্রাম পুলিশের করণীয় ( রিসোর্স পারসন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(কালিগঞ্জ, শ্যমনগর সার্কেল) / এসি ল্যান্ড/ ওসি/ তাদের উপর্যুক্ত প্রতিনিধি )
মডিউল ৪। কোন পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট করা হবে ( রিসোর্স পারসন , নির্বাহী হাকিম, কালিগঞ্জ )

মডিউল ৫। ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে কাজ করার পদ্ধতি ( রিসোর্স পারসন , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান/ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান(পুরুষ/মহিলা)/ ইউপি চেয়ারম্যান/ সুশিল সমাজের নেতা/ ধর্মীয় নেতা )
মডিউল ৬। কালিগঞ্জ করোনা এক্সপার্ট টিমের আন্তঃযোগাযোগ, মিডিয়া ব্রিফিং, দাতা সংস্থার সাথে যোগাযোগ, নথি সংরক্ষণ ( রিসোর্স পারসন , কালিগঞ্জ করোনা এক্সপার্ট টিম ফেইসবুক পেইজের এডমিন ও স্টেশন ম্যানেজার, রেডিও নলতা/ করোনা এক্সপার্ট টিমের উপর্যুক্ত সদস্য )
মডিউল ৭। যুম মিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ( রিসোর্স পারসন , সহকারী প্রোগ্রামার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, কালিগঞ্জ / সহকারী প্রোগ্রামার, ব্যানবেইস)
৩৫। জুম সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন সিনিয়র কর্মকর্তাগণ ও এক্সপার্ট গণের বক্তব্য শোনানো হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, এনজিও সমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করে করোনা ভাইরাস সংক্রান্তে প্রায় ২৫০ টি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
৩৭। উপজেলা ব্যানবেইজ ল্যাবে একটি প্রশিক্ষণের ব্যয় আনুমানিক ১৯ হাজার টাকা। উক্ত অর্থ প্রদান করলে যে কোন সংস্থা/এনজিও/ ব্যক্তির সৌজন্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
৩৮। উপজেলা তথ্য আপা প্রকল্পের উঠান বৈঠকে, উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের বিভাগ সংশিষ্ট প্রশিক্ষণে, বিভিন্ন সভায় করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনামূলক আলোচনার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তার সাথে আলাপক্রমে একজন চিকিৎসককে আমন্ত্রন করে/ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনাপূর্বক করোনা এক্সপার্ট টিমের উপর্যুক্ত সদস্যকে আমন্ত্রণ করে একটি সেশন/ কিছু সময়ের বক্তব্য প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন হতে প্রত্যেক বিভাগকে আলাদ পত্রে দেয়া হবে।

মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *