Spread the love

এসভি ডেস্ক: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের ৫০ টন সরকারি গম উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ মে) রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সুলতান এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল গফফারের গোডাউন থেকে ওই গম জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় ওই প্রকল্প সভাপতি শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পবিত্র কুমার মন্ডল, মনিমুক্তা রাইস মিলের ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম ও মনিমুক্তা রাইস মিল মালিকের ছেলে মনিরুজ্জামান মনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

কালিগঞ্জের মুনিমুক্তা রাইস মিলের মালিক ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার বলেন, শ্যামনগর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর নিকট থেকে নায্যমূল্যে ওই গম ক্রয় করেছি। বুধবার শ্যামনগরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর গোডাউন থেকে ৫০ টন গম আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে পুলিশ গমগুলো জব্দ করে।

শ্যামনগরের সুমি কন্সট্রাকশনের মালিক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, ডিও হোল্ডারগণ গুদাম থেকে গম উত্তোলন করে মাস্টার রোলের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে বিতরণ করেন। তখন শ্রমিকরা গম ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে ওই টাকা নিজেদের অন্য প্রয়োজনে কাজে লাগান। শ্রমিকরা গম বিক্রি করে চাল-ডাল বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করেন।

তিনি বলেন, এই গমগুলো এমপির মাধ্যমে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ প্রকল্পে কাজে লাগান। বিভিন্ন সময়ে ক্রয় করতে করতে ৫০ টন হয়েছে। সেগুলো একত্রে আমি কালিগঞ্জের ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে দিয়েছি। প্রকল্প অফিসের ত্রাণের পরিপত্রে বলা আছে, এই প্রকল্পের সভাপতি শতকরা ৭০ ভাগ বিক্রি করে নগদ অর্থ দিয়ে কাজ করতে পারবে। খাদ্য অধিদফরের চিঠিতে রয়েছে, শ্রমিকদের মাল কোনো ব্যবসায়ী কিনতে চাইলে কিনতে পারে। এছাড়াও খাদ্য অধিদফতরের সিল মারা থাকলেই বস্তাগুলো খাদ্য অধিদফতরের এমনটা নয়। খাদ্য অধিদফতরের ব্যবহার করা পুরাতন বস্তা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে মাল বিতরণের পর বস্তাগুলো বিক্রি করে দেন।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পাচারকালে ৫০ টন সরকারি গম উদ্ধার করা হয়েছে। যা শ্যামনগর থেকে নিয়ে কালিগঞ্জে মজুত করা হচ্ছিল। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *