Spread the love

এসভি ডেস্ক: সাতক্ষীরা শহরের আমতলা এলাকার মুক্ত হোসেন ও ছোট বাবু’র বিরুদ্ধে ট্র্যাক্টর ভাড়ার টাকা না দিয়ে চালকদের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ ট্র্যাক্টর চালকদের পক্ষে এই অভিযোগ করেন জেলার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামের নূর মোহাম্মাদ গাজীর ছেলে মো. এনামুল হোসেন সবুজ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা  ট্র্যাক্টর চালক ও মালিকরা ভাড়ায় মাটি বহনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আমাদের ট্রেড লাইসেন্সসহ গাড়ির চালানোর জন্য অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সব কাগজপত্র রয়েছে। প্রচলিত নিয়মঅনুযায়ী প্রতি ঘন্টায় চার’শ টাকা মৌখিক চুক্তিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত আমাদের ৮টি ট্র্যাক্টর গাড়ি মাটি বহনের জন্য ভাড়া গ্রহণ করেন সাতক্ষীরা শহরের আমতলা এলাকার মোঃ মুক্ত হোসেন ও ছোট বাবু। চলতি মাসের শুরুতেই বর্ষার কারনে মাটি উঠানোর পর্যায় না থাকায় কাজ বন্ধের উপক্রম হয়। তখন পর্যন্ত মুক্ত হোসেন ও ছোট বাবু’র কাছে আমাদের এক লক্ষ টাকা পাওনা হয়। ট্র্যাক্টর চালক ও মালিকরা ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে আজ না কাল, কাল না পরশু এভাবে তালবাহনা শুরু করে।

এনামুল হোসেন সবুজ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মাটি বহনের ভাড়ার প্রাপ্য টাকা না দিয়ে তারা এমন ব্যবহার করতে থাকে যেন আমরা বাধ্য হয়ে ওখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে আসি। কিন্তু আমরা পাওনা টাকা না নিয়ে আসতে রাজি না হওয়ায় গত ১২ মে একটি গাড়ি থেকে ১০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ব্যাটারী খুলে নেয়া হয়। পরের দিন অপর একটি গাড়ির ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি চাকা চিরে দিয়ে পেরেক ফুটিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, একই দিনে হিসাব করে গাড়ি ভাড়া বাবদ ১,২৩,৩৪০ টাকা, ২২৬ লিটার ডিজেল ক্রয় বাবদ ১৭,০৯৫ টাকা এবং গাড়ির ক্ষতিসাধন বাবাদ ১৫ হাজার টাকা মিলে মোট ১,৫৫,৪৩৫ টাকা মুক্ত হোসেন ও ছোট বাবু’র কাছে আমাদের পাওনা হয়। গত ১৫ মে আমাদের পাওনা সমুদয় টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত এক টাকাও আমাদের দেয়া হয়নি। এই করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের ন্যায্য পাওনা টাকা না দিয়ে তারা আমাদেরকে হয়রানি করছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমরাএবিষয়ে প্রতিকার দাবি করে সহকারি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।তিনি করোনার এই মহাদুর্যোগের সময় গাড়ি ভাড়াসহ ক্ষতিপুরুনের সমুদয় টাকা যাতে দ্রুত পেতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও সহকারি পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল)সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *