শেখ বাদশা, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলায় প্রবল জোয়ারের চাপে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাঁধ ভেঙে চারটি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে প্রায় দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।
জানাগেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে কোলা গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর প্রায় এক’শ ২০ ফুট বেঁড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা ও হাজরাখালী গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়।
শনিবার সকালে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এলাকার শত শত লোক একত্রিত হয়ে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষার কাজ করেন।
এদিকে, শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী ও পিআইও সোহাগ খান ভাঙ্গনকৃত এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। হঠাৎ মধ্য রাতের জোয়ারে বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে চারটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে যায়। বেঁড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ও জাকির হোসেন জানান, বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা ও হাজরাখালী গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রায় দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান জানান, খোলপেটুয়া নদীর কোলা পয়েন্টে বেঁড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছিলো। এরই মধ্যে শুক্রবার মধ্যরাতে বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে যায়। এসময় তিনি বেঁড়িবাধ সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।
এদিকে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কারের প্রানপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানাগেছে।