Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দূরব্যবহার ও চিকিৎসায় চরম অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার প্রার্থনা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সাবরিনা মুরসাল, আলিফ রহমান ও আশরাফুল নেছা (জলি) বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন অত্র উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের দপ্তর সম্পাদক অবিনাশ চন্দ্র বৈদ্য।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামের অবিনাশ চন্দ্র বৈদ্যের স্ত্রী বিপাসা রানী বৈদ্য গত ১১ মার্চ বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে উকুন মারা ঔষধ (বিষ) পান করে। তখন তার পরিবার দ্রুত তাকে আাশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর পেট থেকে বিষ বাহির করা বা ওয়াস করেননি। পরবর্তীতে বিপাসার স্বামী অবিনাশ চন্দ্র বৈদ্য কান্না জড়িত কন্ঠে তার স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া জন্য ডাক্তারদের বার বার অনুরোধ জানালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সাবরিনা মুরসাল ও আলিফ রহমান বলেন, এই রোগীর চিকিৎসার জন্য আমাদের এখানে কোন যন্ত্রপাতি নেই এবং যে ঔষধ লাগবে তা আশাশুনিতে পাওয়া যাবে না।

এরপর অবিনাশ দিশেহারা হয়ে দ্রুত স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে তার স্ত্রীকে চিকিৎসা করান। বর্তমানে বিপাসা সুস্থ আছেন বলে জানান অবিনাশ।

ঘটনার বিষয়ে জানাতে চাইলে মেডিকেল অফিসার সাবরিনা মুরসাল বলেন, ঘটনার দিন আমি জরুরী বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম। রোগীকে যখন নিয়ে আসা হয়েছিলো তখন তিনি অধিক পরিমানে বমি করছিলেন। আর এ কারণে তাকে ওয়াস করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার চিকিৎসার জন্য যে ঔষধ প্রয়োজন সেটি আশাশুনিতে পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুদেষ্ণা সরদার বলেন, বিষ খাওয়া ওই রোগীকে অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তার বা তার আত্মীয়দের সাথে কোন প্রকার দূরব্যবহার করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *