Spread the love

জিএম জাকির হোসেন: সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকা স্বত্তেও সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল । ফলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ওই ইউপির একাধিক সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সুশিল সমাজ।

চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামলের গাফিলতির জন্য বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালিত হয়নি জানিয়ে নাম প্রকাশ না করে একাধিক ইউপি সদস্য বলেন, নানা আয়োজনে সমগ্র বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালিত হলেও আমাদের পরিষদে কোন প্রোগ্রাম পালিত হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাছাড়া এ ব্যাপারে আমাদেরকে চেয়ারম্যান আগে থেকে কিছু জানায়নি। চেয়ারম্যান না করলে আমরা কি করবো?

জানতে চাইলে কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল টাটকা মিথ্যা কথা বললেন।

তিনি বলেন, সকাল ৯ টায় আমরা আলোচনা সভা করেছিলাম। কারা সভা ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিজেরাই আলোচনা করেছিলাম। 
তবে কোন কর্মসূচী পালিত হয়নি জানিয়ে কুশখালী ইউপি সচিব কবিরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে  ইউনিয়ন পরিষদে নানা কর্ম সূচী গ্রহণ করার কথা ছিল। আমি সকাল হতে পরিষদে ছিলাম। আমি সকালে মেম্বর আলমগীর হোসেনকে বলেছিলাম একটা মাইক নিয়ে আসার জন্য তবে তিনি আনেননি। আর এ ব্যাপারে আমি চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম কিন্তু তিনি বলেছিলেন উপজেলার অনুষ্ঠানে আমি ব্যস্ত থাকবো। আপনারা যা পারেন তাই করবেন। তবে কোন মেম্বর এগিয়ে না আসলে আমি কি করতে পারি। আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। 

এদিকে সকাল সাড়ে এগারটার দিকে সচিব মাইক আনতে বলেছিলো জানিয়ে কুশখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, সাড়ে এগারটার দিকে সচিব আমাকে মাইক আনার কথা বলছিলেন । তবে আগে থেকে আমাদের কিছু না বলায় আমি কাজের জন্য বাইরে ছিলাম এজন্য মাইক আনতে পারিনি।

কুশখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান শ্যামল কোন কর্মসূচী গ্রহণ করেনা। আজও সে কোন প্রগ্রাম করেনি। সেতো জামায়াতের চেয়ারম্যান বলে মনে হয়। সে আমাদের কাউকেই মূল্যায়ন করেনা। সে যা ভাল মনে করে তাই করে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *