Spread the love

শেখ বাদশা, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার ঐহিত্যবাহী মোকাম বড়দল বাজার টু খাজরা সড়কে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলাচালে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। একের পর দুর্ঘটনার ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ভীতির উদ্রেক হয়েছে। যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রনের জন্য এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বড়দল বাজারে কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রীজ নির্মীত হওয়া এবং বড়দল থেকে খাজরা সড়ক উন্নয়নের পর থেকে বড়দল টু খাজরা সড়ক খুবই ব্যস্ত সড়কে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বড়দল, খাজরা, আনুলিয়া ইউনিয়ন এবং পাইকগাছা, শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার অনেক মানুষ এই পথে নিয়মিত যাতয়াত করে থাকে। অসংখ্য ইজিবাইক, ইঞ্জিন ভ্যান, নসিমন-করিমন, মটর সাইকেল, বাই সাইকেল ও ট্রলির চলাচল এই পথে। সড়কটি খুবই সংকীর্ণ হওয়ায় যানবাহন ক্রসিং ও ওভারটেকিং সমস্যা চালক, যাত্রী ও পথচারীদেরকে ভাবনার কারন হয়ে থাকে। ক্রসিং ও ওভার টেকিং এর সময় যানবাহন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও অফিস টাইমে ব্যাপক যানবাহন চলাচলের সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

এসময় স্থানীয় ৪টি ইটের ভাটায় ট্রলির যাতয়াতের ফলে রাস্তা সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় এবং দ্রুত গতির ট্রলির ধাক্কায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। কয়েকদিন আগে মধ্যম বড়দল গ্রামের মিজানুর রহমান গাজীর কন্যা মেরিনা (৭) তার মায়ের সাথে ভ্যানে বড়দল বাজারে যাচ্ছিল। ইমান গাজীর বাড়ির সামনে পৌছলে ইটবহনে ব্যবহৃত ট্রলির ধাক্কায় তার একটি পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। অসহায় গরীব পিতা তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে সেলাই-চিকিৎসা করান। কিন্তু উন্নতি না হওয়ায় পরে তাকে সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিতে ভর্তি করতে হয়েছে। এভাবে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে এ সড়কে।

বড়দল বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় ৩টি প্রাইমারী স্কুল, ১টি কলেজিয়েট স্কুল, ১টি গার্লস স্কুল, ১টি আলিম মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এই সড়ক ব্যবহার করে থাকে। এসময় যানবাহন বিশেষ করে ট্রলি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার দাবী এলাকার সচেতন মহলের। তাদের দাবী সকাল ৮ টার পর থেকে বিকাল ৪/৫ টা পর্যন্ত এই সড়কে ভয়াবহ ট্রলি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হোক। একই সাথে অন্য যানবাহন চালকদেরকে সতর্ক করার জন্য প্রচারনা চালান হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *