জিএম জাকির হোসেন: সাতক্ষীরা সদরের শিবপুরে সন্ত্রাসী স্টাইলে এক কাঠ ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টা করেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী।
মঙ্গলবার(৩ মার্চ) দুপুরে শিবপুর ইউনিয়নের নেবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় রহিমা খাতুন, ফেরদোসী খাতুন, বাপ্পী সরদারসহ অনেকেই জানান, নেবাখালি গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী বিল্লাল সরদার জগন্নাথপুর মৌজার ৩২৫ ও ৩২৬ হালদাগে ৪৬ শতক জমি আশির দশক থেকে ভোগদখল করছে। তবে ওই জমি নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন সময়ে দখলের পায়তারা করছিল একই এলাকার হামিদ সরদারের ছেলে চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী ইনছুর আলী। এ কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো।
এরই সূত্র করে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত শহর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিলন, দক্ষিণ পলাশপোল এলাকার বিষ্ণু পদ চৌধুরীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী দেবাশিষ চৌধুরী, ইনছুর সরদারের ছেলে মিজান হোসেন, নেবাখালি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মহিদ হোসেন, মহিদ হোসেনের ছেলে রফিক হোসেন, বাবুলিয়া গ্রামের মুজিবর সরদারের ছেলে নুরী, বাবলুসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে ইনছুর আলী ওই জমি দখল করতে আসে।
জিআই পাইপ, ধারালো অস্ত্র, লাঠি, হকস্টিক, কুড়াল, দা হাতে বিল্লাল সরদারদের বসত বাড়িতে হামলা করে এবং গালিগালাজ করে ওই এলাকায় এক অজানা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। তাদের এমন কর্মকান্ডে ভয়ে এলাকার মানুষ এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে এবং অনেকেই ভয়তে পালিয়ে যায়। চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিলন ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী বিল্লাল সরদারের জমিতে ৪ টি খুটি পুঁতে রেখে আসে এবং ওই খুটি না তোলার জন্য হুমকি দিয়ে আসে।
তারা আরো জানান, বিল্লাল সরদারদের জমির পাশে থাকা অন্যান্য চাষীদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন। এসময় অন্যান্য চাষীরা প্রাণভয়ে জমির কাজ বাদ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আমরা সাহায্যের জন্য ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে তবে তার আগেই পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
কাঠ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা ক্রয়সূত্রে আশির দশক থেকে জগন্নাথপুর মৌজার ৩২৫ ও ৩২৬ হালদাগের ৪৬ শতক জমি ভোগদখল করছি। ওই জমি নিজেদের দাবি করে ইনছুর আলী আদালতে মামলা করলেও আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। তারা আদালতের ওই রায়কে অমান্য করে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী মিলন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আমাদের প্রাণ নাশের হুমকী দিতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় তারা আমার প্রাণনাশের জন্য আমার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। বাড়িতে আমাকে না পেয়ে তারা আমার চাচা শাহিন হোসেনকে প্রচুর মারধর করে। এতে করে আমার চাচার পা ভেঙ্গে যায়।
এ ব্যপারে জানার জন্য ইনছুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা না বলেই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হাবিব বলেন, ৯৯৯ এ কল করার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরিস্থতি এখন শান্ত। আর এ ব্যাপারে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।