নিজস্ব প্রতিনিধি: সেভেন আপের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলাম(২৪) কালিগঞ্জ উপজেলার বন্ধিপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা সদরের ঘোনা মাঝেরপাড়া এক কিশোরী সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড এলাকার শিমুল মেমোরিয়াল ক্লিনিকে নার্সের চাকরি নেন।চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই ওই নাার্সের উপর নজর পড়ে ওই ক্লিনিকের ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের। তিনি প্রায়ই ওই কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিতেন। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম সেভেন আপের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে ওই কিশোরীকে পান করান।
এরপর ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে কর্মচারী মাহমুদ ও ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম তাকে ক্লিনিকের তিনতলা থেকে তুলে ছাদের উপর নিয়ে যান এবং ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জ্ঞান ফেরার পর ওই কিশোরী বাইরে আসার চেষ্টা করলে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুন একটি রুমের ভেতরে আটকে রাখেন ওই কিশোরীকে।
তারপর ডাঃ রিয়াজুলের সাথে তাকে বিয়ে দেয়া হবে বলে প্রলোভন দেখায় এবং ওই কিশোরীকে দুইদিন ঘরের মধ্যে তাকে আটকে রাখেন ওই ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে মিথুন।
এদিকে দু’দিন ধরে ওই কিশোরীর কোন খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা সাতক্ষীরা থানায় পুলিশকে জানান। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ শিমুল মেমোরিয়াল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে থানায় মামলা করেছে।ইতিমধ্যে ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়া ওই নার্সকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।