শেখ বাদশা, আশাশুনি: সাতক্ষীরার আশাশুনির হাজরাখালী এলাকায় পাউবো’র বেড়ী বাঁধে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন ও তৎসংলগ্ন প্রতাপনগর ইউনিয়নের হাজরাখালি এলাকার বেড়ী বাঁধের অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ। আবারও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। বাঁধ সংস্কারের নামে প্রতি বছর সরকারী অর্থে এলাকার বাঁধ সংস্কার করা হলেও টেকসই বাঁধ নির্মাণ না করায় ওই বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হয় স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা হামিদ আলী, মহব্বত আলীসহ অনেকেই বলেন, সম্প্রতি হাজরখালী গ্রামের খেয়াঘাট সংলগ্ন মিনাজ গাজীর বাড়ির নিকট থেকে বছিরের বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই কিলোমিটার বেড়ী বাঁধ ভেঙে খুবই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ বাঁধটির বড় অংশের মাত্র এক হাত টিকে আছে আর বাকী অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। কোন কোন স্থানে দেড় হাত বা দু’হাত করে টিকে থাকলেও পুরো বাঁধটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাঁধে আগে থেকেই কাজ না করা হলে বর্ষা মৌসুমে এবং নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোন সময় যে কোন স্থানের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন, এলাকার বাঁধটি ভেঙ্গে আস্তে আস্তে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বাঁধের উপর দিয়ে সাইকেল, মটর সাইকেল নিয়ে চলাচল করা যায় না। পায়ে হেটে চলতেও ভয় লাগে। বাঁধের ¯েøাব বলতে কিছু নেই। এছাড়া ইউনিয়নের পুরানো ভাঙ্গন কবলিত বাঁধ গুলোর অবস্থাও ভাল নয়। প্রতি বছর এলাকার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম এবং আমি (চেয়ারম্যান সাকিল) ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনেক টাকা খরচ করে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করি।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, মাসখানেক আগে পানি উন্নয়ন ভিডিও করে নিয়ে গিয়েছিলেন। আশা করছি অতি শীর্ঘ ওই বেড়ী বাঁধ সংস্কার শুরু করা হবে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে আমরা প্রাক্কলনের জন্য পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।