Spread the love

শেখ রিজাউল ইসলাম: সাতক্ষীরার ২২ লক্ষ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল। তবে জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে যেমন সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের তেমনি চিকিৎসা সেবা দিতে যেয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ঠরা।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,  সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২৭ জন ডাক্তারের বিপরিতে আছেন মাত্র ১৭ জন। আর বাকি সিনিয়র কনঃ(সার্জারী), সিনিয়র কনঃ(অর্থ সার্জারী), সিনিয়র কনঃ (চক্ষু), সিনিয়র কনঃ(এ্যানেসথিয়া), জুনিঃকনঃ(ইএনটি). জুনিঃ কনঃ( প্যাথলজি), মেডিকেল অফিসার ১টি, মেডিকেল অফিসার (জরুরী বিভাগ) ১টি, মেডিকেল অফিসার, আয়ু(উন্নয়ন) ১টি ও রেডিওলজিস্ট এর পদ শূন্য।

এছাড়া নার্সিং সুপারভাইজার ১ টি, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১১ টি, স্টাফ নার্স ১টি, সহকারী নার্স ১টি, মেডিকেল টেকঃ( ল্যাব) ১টি,  মেডিকেল টেকঃ(ডেন্টাল) ১টি, ফার্মাসিস্ট ১টি, স্টোর কিপার ১ টি, টিকিট ক্লাক ১টি, ড্রাইভার ১টি, পাম্প মেশিন অপারেটর ১টি, এমএরএসএস ২টি ও সুইপারের ১টি পদ শূন্য।

সরেজমিনে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যেয়ে দেখা যায়, সার্জারী বিভাগে রোগী থাকলেও জনবল সংকটের কারনে তারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জরুরী বিভাগের ডাক্তার দিয়েই চলছে তাদের চিকিৎসা। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার না পেয়ে সীমাহীন হতাশা প্রকাশ করেছেন সদরের বাউকোলা থেকে রোগীর সাথে আসা শওকত নামের একজন অভিভাবক।

তিনি বলেন, ‘গতকাল সকাল ১১টায় আমার ছেলেকে এখানে ভর্তি করি। কিন্তু আজ সকাল ১০ বেজে গেলেও এখনও কোন ডাক্তারের খোজ নেই।’ ঠিক একই রকম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি এক শিশুর মা মনজুয়ারা খাতুন বলেন, ‘আমার বাচ্চার ডায়রিয়া হয়েছে। তিনদিন আগে এখানে ভর্তি করি। ৩ দিনে ডাক্তার এসেছেন একবার। নার্স দিয়ে চলছে এখানকার চিকিৎসা সেবা।’

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হোসাইন সাফায়াত বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালটি ১০০ বেডের হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন ২০০ এর অদিধ রোগী ভর্তি থাকে। তবে রোগী অনুযায়ী জনবল আমাদের হাসপাতালে নাই। এই পরিস্থিতে পাশের উপজেলা হতে ডাক্তারদের লোকাল অর্ডার দিয়ে এখানে কাজ করানোর চেষ্টা করছি। তাছাড়া উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে উপজেলা হতে সিনিয়র কিছু ডাক্তারদের এখানে নিয়ে আসতে পারি তাহলে আমাদের কার্যক্রম চালানো অনেকটা সহজ হবে। অতিশীঘ্রই জনবল সংকট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *