শেখ বাদশা, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের শালখালী বাজার টু চাম্পাফুল কালিবাড়ী সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে গিয়ে করুন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।ফলে সড়কটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবী অপরিকল্পীত ভাবে মৎস্য ঘের পরিচালনা করায় এবং ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে রসালো মাটিতে কোন কোন স্থানে এক থেকে দুই ফুট করে সড়ক বসে গেছে।
এ সড়কটি দিয়ে শোভনালী, আশাশুনি সদর, কালিগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ সাতক্ষীরা জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া শোভনালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষের আশাশুনি উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হিসেবে এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চাম্পাফুল কালিবাড়ী বাজার থেকে শালখালী বাজারের গোদাড়া, বালিয়াপুর, বাটরা, শালখালী বাজার টাওয়ার সংলগ্ন সড়কসহ দীর্ঘ ৬ কিলোঃ সড়কের কয়েকটি স্থানে পিচ পাথর উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসকল জরার্জীণ সড়ক সংস্কার না হওয়ায় ছোট যানবাহনের জন্য মৃত্যুকোপে পরিনত হওয়াসহ প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের উভয় পাশে স্থানীয় মৎস্য চাষীরা উক্ত সড়কটি তাদের মৎস্য ঘেরের একটি বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করায় এবং ঘেরের পানি চুইয়ে সড়কের মাটি রসালো হয়ে পড়েছে। ফলে অতিরিক্ত ভারী যানবাহন ওভারলোড নিয়ে এ সড়ক ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কের একাধিক স্থানে এক থেকে দুই ফুট করে সড়ক দেবে গেছে।
কামালকাটি স্কুল ছাত্র আবির হোসেন জানায়, ওই সড়কে দিয়ে তারা প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে যাতায়াত কনে থাকে। সড়কটি জরার্জীণ হওয়ায় ভোগান্তির অন্ত থাকে না তাদের।
সড়কে চলাচলকারী মটরসাইকেল চালক আমিনুর রহমান বলেন, জরার্জীণ এ সড়কের সুচালো পাথরের কারণে ছোট যানবাহনের টিউ ও টায়ার বাস্ট হয়ে যানবাহন সড়কের মধ্যেই পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত
আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবহিত করা হয়েছে এবং টেন্ডারের প্রস্তুতি চলছে। টেন্ডার হলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।