নিজস্ব প্রতিনিধি: আইনকে বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়ে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সাতক্ষীরা সদরের কদমতলা বাজারের পশ্চিম পাশে জুয়েল রানা বেকারী ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমারী খাবার। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে টিনসেডের একটি রুম ভাড়া নিয়ে বেকারীর মালিক আবুল কালাম তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের খাবার। আর মানহীন ওই ফ্যাক্টরীর খাবার বিক্রয় করে মালিক আবুল কালাম দিনদিন হচ্ছে সম্পদশালী আর ঝুঁকির মধ্যে পতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেকারিতে মানা হয় হচ্ছেনা নিরাপদ খাদ্য তৈরির কোন নিয়ম। তৈরি করা খাবারে বসছে মশা, মাছি আর পোকা, পড়ছে ধুলা-বালি ও শ্রমিকের শরীরের ঘাম। কারখানায় নেই স্যানিটেশন এবং অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। এমনকি নেই কোন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডও।
কদমতলা এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, পাড়া, মহল্লা, স্কুল, কলেজের সামনের দোকানগুলোতে ও হাট-বাজারের বিভিন্ন চায়ের দোকানসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় জুয়েল রানা বেকারী ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীর এসব খাদ্য পণ্য। অনেক জায়গায় পঁচা ও বাসী খাদ্য বিক্রি হয়। ফলে বেকারি খাদ্য খেয়ে সব বয়সী মানুষ বিশেষ করে কোমলমতি শিশুরা পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জুয়েল রানা বেকারী ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরী এর কারখানার মালিক আবুল কালাম বলেন, কয়েক বছর আগে ব্যবসা শুরু করেছি। তাই পরিবেশ তৈরি করতে একটু সময় লাগবে।
তিনি আরোও জানান, ট্রেড লাইসেন্স করেছি। কিন্তু বিএসটিআইসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করার জন্য চেষ্টা চলছে। অনুমতি নিতে সময় লাগবে।
ক্যাব এর সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী জানান, মান নিয়ন্ত্রণহীন ও নোংরা পরিবেশে প্রস্তুত বেকারির খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। ওগুলো বাজারজাতকরণের কোনো বৈধতা নেই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্যানিটেরি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবুল কাশেম বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে প্রথমেই প্রয়োজন বিএসটিআই এর অনুমোদন। পাশাপাশি পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও কলকারখানা অধিদপ্তরের অনুমোদন ও সিভিল সার্জন এর অনুমোদন। এ আইন অমান্য করে যারা কারখানা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘গত মাসে তাদের কারখানায় দুইবার জরিমানা করা হয়েছিল। এমনকি আমি তাদের কারখানায় যেয়ে ফ্যাক্টরীর মালিককে নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছিলাম। এরপরও কোনো অভিযোগ পেলে কদমতলার জুয়েল রানা বেকারী ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’