মাসুদ পারভেজ, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জের যমুনা নদী পুণঃ খনন ও পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র তৈরীর দাবিতে যমুনা নদীর পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলার পিরোজপুর যমুনা নদীর তীরে উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি আশেক মেহেদীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।
এসময় তিনি বলেন, কালিগজ্ঞ-শ্যামনগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত মাদার নদীর সাথে মিলিত হয়ে সোনাখালি পর্যন্ত বিস্তৃত। পরে মালঞ্চ নদীর সাথে মিশে গিয়ে সাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ যমুনা নদীর সাথে ৫০ টির বেশী বিল খালের সংযোগ রয়েছে।
মূলতঃ উপকুলীয় ওয়াপদার বাঁধ তৈরী হওয়ার আগ পর্যন্ত এই যমুনা নদীর খরস্রোত প্রবাহমান ছিল। সেই থেকে নদী ও সংযুক্ত খাল সমুহের নাব্যতা স্বভাবিক, পরিবেশ সহিষ্ণু ও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুকিমুক্ত ছিল। আদি যমুনা নদী ঐতিহ্য ও ইতিহাসের পাতায় আজও বিদ্ধমান রয়েছে। বারোভুইয়ার অন্যতম স্বাধীন নৃপতি প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল এ যমুনা কুলে। এখনও টিকে আছে মৌতলার নৌ-পথের জাহাজ ঘাটা।
সনাতনী ধর্ম বিশ্বাসীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বারুনের স্নান এ যমুনাতে হয়ে আসছিল। কিন্তু উপকুলীয় বাঁধ নির্মাণে প্রবাহমান যমুনাকে বন্ধ খালের পরিনত করে। ইছামতি, দমদম ও বসন্তপুরের মধ্যবর্তী আদি যমুনার দু‘ কিলোমিটর পর নাজিমগঞ্জের পাশ দিয়ে দক্ষিণ মুখো বাঁক নিয়ে শ্যামনগরের উপর দিয়ে সাগর অভিমুখে ধাবিত হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নদী রক্ষা, জলাবদ্ধতা নিরসন, খাস জমি উদ্ধার ও পরিবেশ রক্ষা সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি মহাসিন হোসেন বাবলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডঃ এবিএম সেলিম, এ্যাডঃ শেখ শিমুল, এ্যাডঃ মোস্তফা জামান, সংগঠনের সধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ অসিম কুমার মন্ডল, এ্যাডঃ নূরুল আমীন, এ্যাডঃ সরদার সাইফ, এ্যাডঃ তোহা কামাল, সাংবাদিক আবু সাঈদ, এ্যাডঃ মিজানুর রহমান বাপ্পি, এ্যাডঃ কাজী আব্দুল্লা হাবিব, মাসুদ পারভেজ, মানবাধীকার কর্মী সাংবাদিক ইশারত আলী, আতিকুর রহমান প্রমুখ।