নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া পাইলট স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করতে উদ্যত হয় কলারোয়া প্রিমিয়ার ছাত্র সংঘের সাধারণ সম্পাদক শুভ।
রোববার কলারোয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে একথা উল্লেখ করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী কেনাকাটার জন্য কলারোয়া বাজারে যায়। পথিমধ্যে কলারোয়া সরকারি কলেজের সামনে পৌঁছালে দুই যুবক গালিব ও আল আমিন ওই ছাত্রীকে জোর করে এক ধরণের তরল জাতীয় পানি পান করায়। এরপর থেকে তার শরীর ঝিমঝিম করতে থাকে। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর তার বমি-বমি ভাব হলে সে পান খাওয়ার জন্য স্থানীয় দোকানে যায়। দোকান থেকে ফেরার পথে কলারোয়া প্রিমিয়ার ছাত্র সংঘের সভাপতি অভি ও সাধারণ সম্পাদক শুভ মোটরসাইকেলে করে তাকে উঠিয়ে লাঙ্গলঝাড়া রোডের মাহমুদপুর কালভার্টের পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে শুভ। তারপর শুভ ওই ছাত্রীকে খুন করতে উদ্যত হলে অভি তাতে বাঁধা দেয়। এরপর তারা ওই ছাত্রীকে মাহমুদপুর মান্দার তলা ব্রিজের সামনে একটি বাগানে ফেলে চলে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা ও আকাশ নামের এক যুবক তাকে উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় রোববার রাতে কলারোয়া বাজার হতে শুভ ও অভিকে আটক করে কলারোয়া থানা পুলিশ।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনির উল গিয়াস আটকের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই ঘটনার পর ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছে। ওই মামলায় শুভ ও অভিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অন্যান্য আসামীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।