Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলায় অসহায় পরিবার স্থানীয় প্রভাবশালী জামাত কর্মী ও এলাকায় চাঁদাবাজ নামে পরিচিত আছাফুজ্জামান গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শ্রীউলা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামের ফজলুর রহমান মোড়লের ছেলে সাইফুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা এলাকার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ। আমার পিতা ফজলুর রহমান মোড়ল একই এলাকার আনোয়ার উদ্দীনের নিকট থেকে ১৭/০৩/১৯৮৩ তারিখে ১৯২৯ নং কোবলা দলিল মুলে আশাশুনি সাব রেজিষ্ট্রি অফিস মাধ্যমে বলাডাঙ্গা মৌজার ৩৩শতক জমি ক্রয় করেন। এছাড়া আমার বড় চাচা আব্দুর রশিদ ও আমি উক্ত আনোয়ার উদ্দীনের নিকট থেকে ১১শতক ক্রয় করি। পরবর্তীতে আনোয়ার উদ্দীন মোড়ল এইই জমি শাহাজান মোড়লের দিংদের নিকট সাড়ে ১৬ শতক জমি ২৫/১১/১৯৯২ তারিখে ৫৪৩৩ নং দলিলে আশাশুনি সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে কোবলা মূলে বিক্রয় করেন।

আমরা পরবর্তীতে জানতে পারি উক্ত আনোয়ারদ্দীনের সর্ব মোট জমি ৩৭ শতক। কিন্তু তিনি জমি বিক্রয় করেছেন সাড়ে ৮৬ শতক। বিক্রিত জমি অবৈধ ভাবে দখল করতে উক্ত আনোয়ারউদ্দীনের মৃত্যুর পর তার অরেশগন ইউনুছ মোড়ল, পিতা-মৃত আনোয়ারউদ্দীন মোড়ল, স্ত্রী আমেনা খাতুন, ছেলে আছাফুজ্জামান, মেয়ে সাহিদা খাতুন, রোকেয়া খাতুন, বিউটি খাতুন সহ আরও অনেকে একত্রিত হয়ে উক্ত সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারার চেষ্টা করে। আমাদের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির শত বছরের যাতায়াতের পথ ও উক্ত সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করায় গত ইং ২৫/০৩/২০১৮ তারিখে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যা তারা মানে না বলে জানিয়ে দেয়। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা জনৈক বাবু গাজীকে মাারপিট করে।

উপায় না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে আশাশুনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রতিকার হিসেবে থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একটি মিমাংসা করে দেন। মিমাংসার পর আবারও গত ইং ১৭/০৭/১৮ তারিখে আমার বসত ভিটার মধ্যেকার ঘেরা ও ফলদি গাছ গাছালি তারা কতর্ৃন করে। যা স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে আমাদের যাতায়াতে পথ নিচু হয়ে যাওয়ায় আমরা মাটি দিয়ে পথ উচু করণ করার কাজ করতে গেলে ইউনুছ মোড়ল সহ তার পরিবারের লোকজন আমাদের খুন যখমের হুমকি দেওয়া সহ আমাদের পরিবারের লোকদের উপর হামলা ও লাঞ্চিত করে। এব্যাপারে আশাশুনি ানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করা হয়। যার নং ১১১৮ তাং ২৩/১১/১৮।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ও জমির অবৈধ দখল না দেওয়ায় তারা গত ইং ২২/১১/১৯ তারিখে বেলা ৪টার দিকে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুবাদে আমার চাচী মঞ্জুয়ারা খাতুনকে মারপিটসহ তার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় আহত মঞ্জুয়ারাকে স্থানীয় চৌকিদারের মাধ্যমে আশাশুনি হাসপাাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনার তদন্ত পূর্বক আশাাশুনি থানা পুলিশ প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার বাদী আহত মঞ্জুয়ারা খাতুন। মামলা নং ৩০। তাং ২৩/১১/১৯। বিষয়টি ভিন্ন খ্যাাতে প্রভাভিত করতে ও একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব স্টেনো আব্দুল ওহাব মোড়লকে জড়িয়ে উক্ত জামাত-শিবির কর্মী আছাফুজ্জামান সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে।

শ্রীউলা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আব্দুল ওহাব মোড়ল কিছুই জানেন না বা আমরা তার কাছে দারস্থ হয়নি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমাকে (সাইফুল ইসলাম ময়না) ও আমার চাাচাতো ভাই আল মামুন মিলনসহ আমার পিতা-চাচা-চাচীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে উক্ত আছাফুজ্জামান বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

প্রকৃত পক্ষে আছাফুজ্জামান জেলা থেকে বহিরাগত লোক নিয়ে ও তার পরিবারের লোকজনসহ আমাদের সম্পত্তি জবর দখললের চেষ্টা ও ত্রাসের সৃষ্টি করে। বাঁচতে চাইলে উক্ত আছাফুজ্জামান গংদের মোটা অংকের চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় উক্ত ইউনুছ মোড়ল ও আছাফুজ্জামান গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং আইনে ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *