Spread the love

এসভি ডেস্ক: আমার সন্তান মারা যায়নি। তাকে সু-পরিকল্পিত ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এখন মৃত্যু পথযাত্রী। আমার আগে আমার সন্তান মারা যাবে এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমার চার সন্তানের মধ্যে একেএম হেলাল উদ্দিন সবার বড়। দেশের সর্বোউচ্চ বিদ্যাপীট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করেছে সে। তাকে এভাবে ধুকে ধুকে মরতে হবে আমি মা হিসেবে এটা মেনে নেওয়া খুবই দুরহ যন্ত্রনার। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপরিক্ত কথাগুলো বলেন, শহরের মুনজিতপুর গ্রামের মৃত আশরাফ উদ্দিনের বৃদ্ধ স্ত্রী তাহেরা বানু। এ সময় তিনি বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আমার বড় পুত্র হেলাল লেখাপড়া শেষ করে ঠিকাদারি ব্যাবসা ও তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দেখভাল করতো। আস্তে আস্তে আমার পুত্র স্বাবলমী হতে থাকে। এ সময় কুনজর পড়ে একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র পরসম্পদ লোভী নাজমুল হুদার। নাজমুল হুদা তার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য পলাশপোল এলাকার মুকুল চৌধূরির স্ত্রী সাহিদা আনসারী রুমির ও আমার ছেলের তার বাড়িতে ভাড়া হিসেবে উঠায়। নাজমুল হুদার কুমন্ত্রনা চরিতার্থ করার জন্য আমার ছেলের সাথে অর্ধেক বয়সি ওই মহিলার বিয়ে দিয়ে দেয়। আমার ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার আগে মুকুলের ঘরে তার দুইটি পুত্র সন্তান আছে। উক্ত মহিলার সাথে বিবাহ হওয়ার পর আমার ছেলে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়তে থাকে। এবং ওই সুচুতুর মহিলা ও লম্পট নাজমুল হুদা আমার ছেলের যাবতীয় টাকা আত্মসাত করে নেয়। এতে আমার পুত্র পাগল হয়ে গত ৪ ফেব্রæয়ারি ২০১৯ তারিখে মৃত্যুবরন করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের ব্যাবসায়িক টাকার প্রয়োজন হলে সে ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার পরিকল্পনা করে। সে সময় আমার স্বামীর ক্রয় করে দেওয়া হেলাল নাসিরের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি ও ফিরোজা খাতুনের নামে মটগেজ রেজিষ্ট্রি করে নেয়। সম্পত্তির বিপরীতে হেলাল তার বোন ফিরোজাকে ৭০ লাখ টাকা ও ভাই নাসির উদ্দিনকে ৬০ লাখ টাকার চেক দেয়। কিন্তু ব্যাংক ঋন পরিশোধ না হওয়ায় বাড়িটি নিলাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে তারা উক্ত চেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলার বড় পুত্রের ওয়ারেশ হিসেবে সাহিদা আনসারীসহ ওয়ারেশগনকে বিবাদী করা হয়। ইতিমধ্যে আইনজীবী চুড়ান্ত নোটিশ প্রেরণ করেছে। গত ৭/১১/১৯ তারিখে নোটিশ প্রাপ্তির পর সুচতুর মহিলা আমার তিন সন্তানকে নানা ভাবে হয়রানি করতে শুরু করেছে।
আমার সন্তান মারা যাবার পর সুচতুর মহিলা তার যাবতীয় সহায় সম্পত্তি আত্মসাত করেছে। তার রেখে যাওয়া একটি রোডরোলার ১৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। আমার ছেলের অফিস ঘর বিক্রি করে দিয়েছে। ব্যাংক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। উক্ত মহিলা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন আমরা নাকি তার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। সে কোন দিন আমার বাড়িতে আসেনি। তাহলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলাম কি করে। উল্টো সে আমার নিরাপরাদ সন্তানদের ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। আমি চরিত্রহীনা মহিলা ও নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন, হেলাল উদ্দিনের ভাই নাছির উদ্দিন লিটন, বোন ফিরোজ পারভীন, চাচা আব্দুল খালেক সরদার হযরত আলী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *