Spread the love

এসভি ডেস্ক: উপকার করে বা দান করে তার প্রতিদান চাওয়া অথবা তা বলে বেড়ানো জঘন্য অন্যায় ও কবিরা গুনাহ।

উপকার বা দান করতে হবে সম্পূর্ণ নিঃশর্ত মনে ও আল্লাহকে রাজি খুশি করতে। আর তার উদ্দেশ্য জানবেন একমাত্র আল্লাহতায়ালাই।

fb-Cover-Photo

কেউ যদি কারো উপকার করে খোঁটা দেয় তাহলে তা মানুষকে ছোট করে হয়। দেখা যায়, একশ্রেণীর মানুষ দান-খয়রাত করে এবং ঋণকর্জ দিয়ে পরক্ষণেই খোঁটা দেয় ও বলে বেড়ায়।

বিশেষত যদি গ্রহীতার সঙ্গে দাতার কোনো কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয় বা মতপার্থক্য দেখা দেয়, তখন অতীতের উপকারের ফিরিস্তি খুলে দিয়ে খোঁটা দিতে শুরু করে।

কাউকে সহযোগিতা কিংবা উপকার করে খোঁটা দেওয়া ইসলামে নিকৃষ্ট অপরাধ। খোঁটা দিলে উপকারের সওয়াব বিনষ্ট হয়ে যায়। তাই খোঁটা দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য অন্যায় ও কবিরা গুনাহ।

এ সম্পর্কে কুরআনে সুরা বাকারার ২৬২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোনো আশঙ্কা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৬২)

সুরা বাকারা ২৬৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান-বদান্যতা বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মতো, যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না।

মূলত যারা সংকীর্ণমনা তারাই উপকার করে অপরকে খোঁটা দেয়। কেয়ামতের দিন  আল্লাহ তায়ালা তাদের সাথে কথা বলবেন না।

আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, তিন শ্রেণীর লোকের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন কথা বলবেন না। খোঁটাদানকারী; সে যা কিছু দান সদকা করে পরক্ষণেই তার খোঁটা দেয়। আর যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথ করে তার পণ্য বিক্রি করে এবং যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে চলে বা পরিধান করে। (মুসলিম, হাদিস নং: ২০২)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *