নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বাকসা এলাকায় এক আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
এসময় স্থানীয় এক যুবক জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাংচুর ও লুটপাটে জড়িত ৮ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, বাকরা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (২৮), মোস্তাফিজুর রহমান (২৭), নজরুল ইসলাম (৪৫), আ: জলিল (৫০), ফিরোজ হোসেন (২৫) ও সেলিম হোসেন (২৪)।
কেড়াগাছি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাকসা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ভোর ৬টার দিকে আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন অতর্কিতভাবে এ হামলা চালায়। তারা আমার ছেলে ওসমান গণি, ইমরান হোসেন, পুত্রবধূ আসমিতারা খাতুন মিতা, আমার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায় ও বসতঘর ভাঙচুর শুরু করে। স্থানীয় গ্রামবাসী বাধা দিতে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরও জানান-২১ শতক জমি শ্বশুর আমার স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। ৩বছর আগে সেই জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। এই জমি আমার শ্বশুরের ভাতিজারা দাবি করেছে। মূলত এটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন। এই দ্বন্ধের সুযোগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর আমার ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করি।পরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নেয় গফুর। টাকা নেয়ার পরেই আজ শুক্রবার সকালে এ তান্ডব চালায় তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মারুফ হোসেন জানান-আতর্কিত এ হামলার পর স্থানীয় এক যুবক জরুরি সেবা-৯৯৯ কল দেন। তারপর কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬জনকে আটক করে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনির-উল-গীয়াস বলেন, ভাংচুর চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে থানাতে কেউ কল দেয়নি। জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা ১২-১৩ জনের নামে থানায় এজাহার দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত আজিজুল ইসলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।