Spread the love

এসভি ডেস্ক: সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী বৈকারী ইউনিয়নের আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব নিকাশ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানীতে মেতে উঠেছে একটি কুচক্রী মহল।

সাতক্ষীরা শহরের২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে ভারত সীমান্তবর্তী এ ইউনিয়নটির অবস্থান। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তির নেতৃত্বে এ ইউনিয়নের মানুষের আশা আকাংঙ্খা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। এ ইউনিয়নে জামায়াত নেতা সাবেক এমপি খালেক মন্ডলও ছিলেন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা খালেক মন্ডলের সাথে হাত মিলিয়ে সীমান্তবর্তী ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। পরবর্তীতে জামায়াতকে ট্রাম্পকার্ড বানিয়ে নিজেই বনে যান হর্তাকর্তা বিধাতা। চোরাচালানী আর গ্রাম রাজনীতির এ খলনায়কের অত্যাচারে অতিষ্ট ইউনিয়নবাসী।

এরই ফলশ্রুতিতে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সীমান্তঘেষা কালিয়ানী গ্রামের মোছলউদ্দীন সরদারের ছেলে ঈশারুল ইসলাম ২০১১ সালে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৪ সালের তৎকালীন জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন নাশকতা কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পলাতক থাকে। অন্যান্য ইউপি সদস্যদের প্রত্যক্ষ ব্যালটে তরুণ উদীয়মান ইউপি সদস্য ঈশারুল ইসলাম প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর জামায়াতের তান্ডবে ক্ষত বিক্ষত ইউনিয়নের দায়িত্ব নিয়ে আমুল পরিবর্তন ঘটায়। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চাইলেও ভিলেজ পলিটিক্যালদের রক্তচক্ষু তাকে দমিয়ে রাখে। কিন্তু তার ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আবারো ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে উক্ত ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। 

সম্প্রতি তার জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিদ্বন্দিতা ঘোষণা করার আগেই এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত  স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে। এতে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা সামাজিকভাবে হেয় ও হয়রানী করতে ঈশারুলের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। 

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইশারুল ইসলাম অত্যন্ত সরল ও মিশুক প্রকৃতির। তিনি একজন জন বান্ধব জন  ঈশারুল ইসলাম। তার ভিতরে কোন অহংকার না থাকায় অনায়াশেই সকলেই তার কাছে দুঃখ দুর্দশার কথা জানাতে পারে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাতক্ষীরা শহরে সোনালী ইলেকট্রনিক্স নামে একটি বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত অর্থের বেশির ভাগই জনকল্যানে ব্যয় করেন। একারনে গরীব দুঃখী অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের হৃদয়ের আস্থার প্রতীক হয়েছেন তারুণ্যের অহংকার এ মানুষটি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *