Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের হোটেল ও ভাজার দোকানগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরী করে তা বিক্রয় চলছে রমরমা।

দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রকাশ্যে জনবহুল রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে তা ক্রেতা সাধারণের মাঝে বিক্রয় করে আসলেও সংশ্লিষ্টরা কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা এমন প্রশ্ন জনসাধারণের।

আশাশুনির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মেইন সড়কের পাশে রাস্তার দু’পাশ দিয়ে মিষ্টান্ন ভান্ডার, ভাতের হোটেল ও বিভিন্ন ধরনের ভাজার দোকান রয়েছে। এসব দোকানের সামনে চুলা বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, ভাত, তরকারী, পরোটা, রুটি, সিংড়া, মোগলাই, আলুর চপ, বেগুনীর চপ, জিলাপী সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য তৈরী করছেন।

এছাড়াও নানা প্রকার মিষ্টান্ন সামগ্রী তৈরীর নির্ধারিত পাক ঘর ও করখানার অবস্থা একে বারে স্যাঁতস্যাঁতে অপরিছন্ন পরিবেশ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলে আসলেও উপজেলার দায়িত্বে থাকা সেনেটারী কর্মকর্তার তেমন কোন পদক্ষেপ এলাকাবাসীর চোখে পড়েনি। মাঝে মধ্যে বছরে দুই এক দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত আশাশুনিতে পরিচালিত হলেও জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা, আশাশুনি সদর, মহিষকুড়, শ্রীউলা, প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা, গোয়ালডাঙ্গা, বড়দল, তেঁতুলিয়া, যদুয়ারডাঙ্গা, কাদাকাটি ও দরগাহপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারের প্রায় সব হোটেলেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরীর পাশাপাশি ক্রেতাদের মাঝে পরিবেশন করছেন। আর বিক্রয়ের স্থানের পাশে অবস্থিত পাকঘর ও মিষ্টি তৈরীর কারখানার পরিবেশ অত্যান্ত নাজুক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মেইন সড়কের পাশের দোকানগুলোতে খোলামেলা ভাবে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী তৈরীর পরিবেশ দেখলে বুঝা যায় কতটা ক্ষতিকর জিনিস প্রতিনিয়ত আমাদের মানব দেহে প্রবেশ করছে। আর এসব খাবার খেয়ে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা দিনদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এব্যাপারে অতিদ্রুত জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী ও ক্রেতা সাধারণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *