এসভি ডেস্ক: সাতক্ষীরা সদরের শিকড়ী বি,কে, ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫/৩০টি সরকারী মেহগনি গাছ বিক্রি করে নিজের পকেট ভর্তি করার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ কাশেম এর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে গত শনিবার দুপুরে ওই গাছগুলোর মধ্যে দুটি মেহগনি গাছও কর্তন করেছে প্রধান শিক্ষক এম,এ কাশেম।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ খেলার মাঠের তিন দিকে ছোট বড় ২৫/৩০টি মেহগনি গাছ আছে। তিন মাস আগে শিকড়ী বিকে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এম এ কাশেম। বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবার পর হতে তিনি নানা অনিয়ম শুরু করেছেন। কোন প্রকার নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে তিনি সম্প্রতি ওই খেলার মাঠের ২৫/৩০টি গাছ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে তিনি স্থানীয় শ্রমিক দ্বারা শনিবার দুপুরে সকলের অজান্তে দুটি বড় বড় মেহগনি গাছ কর্তন করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএ কাশেম বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজুলেশন করে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে গাছ কর্তণ করা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া আমার কিছুই করার ক্ষমতা নেই।
তবে গাছ কাটার ব্যাপারে কিছ্ইু জানেননা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য মতলেবুর রহমান টুটুল বলেন, গাছ কর্তন করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে কল করি এবং গাছ কাটার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এমএ কাশেম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে গাছ কর্তণ করা হয়েছে। তখন আমি বলি আমিওতো ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কই আমিতো জানিনা। তখন প্রধান শিক্ষক বলেন, সভাপতিসহ অন্যান্যরা গাছ কর্তণের বিষয়ে জানেন। ইউএনও মহোদয়ের অনুমতি নিয়েছেন কি না করলে প্রধান শিক্ষক তখন বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এখানে ইউএনও মহোদয়ের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
তবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রয়োজনেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ের জমিতে গাছ রোপন করেন। ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন করে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয়ের গাছ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে কর্তণ করতে পারেন।
এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল গাছ কর্তণের বিষয়ে জানতে কল করলে তিনি রিসিভ করেন নি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। কেউ এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।