Spread the love

নাজমুল শাহাদাৎ (জাকির): ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য এবার সাতক্ষীরা সদরের কদমতলা-বৈকারী সড়কের ধারের সরকারি একটি বড় শিশু গাছ কর্তণ করার অভিযোগ উঠেছে কুশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামলের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার(২০ আগস্ট) দুপুরে ওই গাছ কর্তন করে নছিমনে করে গাছের গুড়িগুলো কাথন্ডা বাজারের সাইফুল ইসলামের ’স’ মিলে রেখে আসা হয়েছে।

আর গাছের বাকি কাঠগুলো কুশখালীর ছয়ঘরিয়া গ্রামের আইজুদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী বাড়িতে নিয়ে গেছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার বিকালে ছয়কুড়া এলাকায় যেয়ে দেখা যায় গাছের ডালগুলো নিয়ে যাচ্ছে কুশখালীর ছয়ঘরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মাছুরা খাতুন। এসময় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্যামল চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার স্বামীসহ কিছু ব্যক্তি গাছটি কেটেছে। আমাকে ডালগুলো নিয়ে যেতে বলায় আমি নছিমনে করে ডালগুলো নিয়ে যাচ্ছি।’

স্ত্রীর কাছ থেকে সাইফুলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কল করে গাছ কাাঁটার বিষয়ে সাইফুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্যামল ভাই কাটতে বলেছে তাই কেটেছি। আমরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছিমাত্র। চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত কাজের জন্য ওই গাছ কাটতে বলেছে তাই কেটেছি। গাছের গুড়িগুলো কাটানোর জন্য কাথন্ডার মিলে রেখে এসেছি।’

তবে কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কিছু দুঃস্থ লোক বেড়িবাঁধের উপরে থাকে। তাদের সহযোগিতার জন্য গাছটি কাটতে বলা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানার সাথে সাথে আমাদের সার্ভেয়ারসহ পরিষদকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল এর আগেও আমাদের এলাকার অনেক সরকারি গাছ কর্তণ করে বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি এলাকার সরকারি সম্পত্তিকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।

এ ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানান স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *