Spread the love

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়েজুল্লাহ্’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কলেজ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

কলেজ ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, শিক্ষকদের প্রতি অশোভন আচরণ, ইভটিজিংসহ নানাবিধি অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি ঘোষণর আহবান জানানো হয়।

মানববন্ধন শেষে সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লা কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ফয়েজউল্লাহ্ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে আমাদের ছাত্র। সোমবার বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ আমার রুমে এসে বলতে থাকে, আংকেল আপনারা স্টুডেন্টদের কাছ থেকে ৮০ টাকা করে নিচ্ছেন কেন ? তখন আমি বলি, এটা তোমাদের ভাইস স্যার বলতে পারবেন। তার কাছে জিজ্ঞেস কর। আমি একটু অন্য কাজে ব্যস্ত। তখন সে উত্তর দেয়, এই তুই জানিস না কেন ? তখন আমি তাকে আমার রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলি। এসব ঘটনার সময় আরও দুইজন শিক্ষক আমার কক্ষে ছিলেন।

কলেজ অধ্যক্ষ আরও বলেন, আমার ৩৪ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার পর তার বলা কথাগুলো সকল শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে সকল শিক্ষকরা বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। যার প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন করে প্রতিবাদ ও কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সাবেক মন্ত্রী ডা.আ.ফ.ম রুহুল হক স্যারকেও জানানো হবে। এর একটা সুরহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা খ্যান্ত হব না।

তিনি বলেন, এই ছেলের বিরুদ্ধে ইভটিজিং, গাজা খাওয়া, চাঁদা দাবি করা, উশৃঙ্খলতার অভিযোগ প্রতিদিনের ঘটনা। তবে তাকে আমরা বুঝায়। অল্প বয়স হয়তো সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দিন দিন তার আচরণ আরও খারাপের দিকে গেছে। আমরা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাই।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক খাতার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ১০০-১৫০ টাকা করে নেওয়ার ঘটনাটি শিক্ষার্থীরা আমাকে জানানোর পর বিষয়টি জানতে আমি অধ্যক্ষের রুমে যাই। এসব কথা জিজ্ঞেস করায় সেখানে আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এছাড়া স্যার আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিচ্ছে সেটা সত্য নয়।

এদিকে, ছাত্রলীগ সভাপতির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে কলেজ অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, শিক্ষক গোলাম জাকারিয়া, পবিত্র মোহন দাশ, মোল্লা সাব্বীর হোসেন, কামিদুল ইসলাম, শংকর কুমার দাশ, আজহারুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, শেখ মিজানুর রহমান, শহীদুল ইসলাম, মইনুদ্দিন খান, ফেরদৌসী পপী, শেখ হাবিবুল্লাহ, আছফারজ্জামান, এস,এম মিজানুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, আকবর আলী, মোশারফ হোসেন, শাহানুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবীর, স্বপন কুমার মন্ডল, আকরাম হোসেন, আজিজুর রহমান, মাসুদ করিম, শচীন্দ্র নাথ মন্ডল, রনজন কুমার মন্ডল, অভিজিৎ বসু, আব্দুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামানসহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।